..............

পূর্ণব্রহ্ম সনাতন, সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় কারণ, সত্যনারায়ণ, আমিই সেই রামঠাকুর। ”

গর্বিত পন্ডিতের অহঙ্কার মোচন

SRI SRI RAMTHAKUR


“পূর্ণব্রহ্ম সনাতন, সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় কারণ, সত্যনারায়ণ, আমিই সেই রামঠাকুর। ”

  1. ঊনবিংশ শতাব্দীর তিরিশ দশকের প্রারম্ভে ঢাকা হইতে সদানন্দবাবুকে সঙ্গে লইয়া ঠাকুর মহাশয় আসিলেন পূর্ববঙ্গের ভৈরব ষ্টেশনের রেল আবাসনে। সেখানে শ্রীযুক্ত ললিত রায় মহাশয়ের আবাসে শ্রীশ্রীরামঠাকুর শুভবিজয় করিতেছেন। প্রতিদিন বিশেষ করিয়া ছুটির দিন সকাল সন্ধ্যায় 
  2. .........
অপেক্ষাকৃত অধিক ভক্তকুল শ্রীশ্রীঠাকুর সন্নিধানে আসিয়া তাঁহার অমৃতময় কথা শ্রবণ করিয়া আনন্দ লাভ করিতেছেন। রেল আবাসন এবং আশপাশের আশ্রিত অনাশ্রিত নির্ব্বিশেষে ধর্ম্মপিপাসু ভক্ত সমাজে শ্রীশ্রীঠাকুরের শুভাগমনে সাড়া পড়িয়া গিয়াছে। স্ত্রীপুুরুষ সকলে শ্রীশ্রীঠাকুরকে দর্শন ও প্রণাম করিতে ব্যস্ত। কেহ কেহ নাম চাহিয়া নাম পাইতেছেন।
.......
ললিত রায়ের গৃহের চারিদিকে যেন আনন্দের হাট বসিয়াছে। এইভাবে একদিন সকাল বেলায় জাতিতে ব্রাহ্মণ, স্থানীয় একজন তথাকথিত প-িত শ্রেণীর ব্যক্তি ললিত রায় মহাশয়ের গৃহাবাসের সম্মুখে আসিয়া পান্ডিত্যের গৌরবে গর্বিত হইয়া পন্ডিত উচ্চ কণ্ঠে বলিতে লাগিলেন, “কৈ গো তোমাদের রামঠাকুর, তিনি নাকি ভগবান, তানরে একবার দেইখা যাই।”
অহঙ্কারী পন্ডিতের শ্লেষপূর্ণ বাক্য শুনিয়া সেখানে উপস্থিত সকলেই স্তম্ভিত। গৃহ মধ্যে ভক্ত পরিবৃত হইয়া ঠাকুর মহাশয় একখানা তক্তপোষের উপর তাঁহার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বসিয়া আছেন। উদ্ধত পন্ডিতের কথা শ্রবণ করিয়া শ্রীশ্রীঠাকুর শান্তভাবে বাহির আসিয়া সেই পন্ডিতের সম্মুখে দন্ডায়মান পূর্বক তাঁহার দিকে দৃষ্টিনিক্ষেপ করিয়া উদাত্ত কণ্ঠে বলিতে লাগিলেন,-
“পূর্ণব্রহ্ম সনাতন, সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় কারণ, সত্যনারায়ণ, আমিই সেই রামঠাকুর।”
পান্ডিত্যের অহঙ্কারে অহঙ্কারী পন্ডিত প্রবর কথাগুলি শুনিতে শুনিতে শ্রীশ্রীঠাকুরের মধ্যে কী দেখিতে পাইলেন তাহা তিনিই জানেন। উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ কিছুই অনুমান করিতে পারিলেন না। তাঁহার শুধু লক্ষ্য করিলেন সেই আত্মাভিমানী গর্বিত পন্ডিত মুহূর্তের মধ্যে থর থর করিয়া কাপিতে কাপিতে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ভুপতিত হইলেন। তখন উপস্থিত সকলের মধ্যে চলঞ্চতা শুরু হইয়া গেল। কেহ কেহ তাঁহার শুশ্রুষায় ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। চোখে মুখে শিরে জলক্ষেপনপূর্বক তাঁহাকে সকলে ধরাধরি করিয়া যে ঘরে ঠাকুর মহাশয় আছেন সেখানে ঘরের মেঝেতে শোয়াইয়া দিলেন। শ্রীশ্রীঠাকুর পুনরায় তাঁহার পূর্ব নির্দিষ্ট আসনে বসিয়া নিলিপ্তের ন্যায় সব কিছু অবলোকন করিয়া যাইতেছেন। কিছুক্ষণ পরে পন্ডিতের সংজ্ঞা ফিরিয়া আসিল। জ্ঞান ফিরিবার পরে দাম্ভিক পন্ডিত শ্রীশ্রীঠাকুরের সম্মুখে হাঁটু গাড়িয়া বসিলেন। তারপর হাতজোড় করিয়া কম্পিত কণ্ঠে ঠাকুরের  শ্রীমুখপানে চাহিয়া সাশ্রুনয়নে গীতার একাদশ অধ্যায় আবৃত্তি করিতে লাগিলেন। সদানন্দদাদা বলিলেন যে গীতার একাদশ অধ্যায় বিশ্বরূপ দর্শন সম্পূর্ণ আবৃত্তি করিতে মুহুর্মুহু কাপিয়া উঠিতেছিলেন। তখনও পর্য্যন্ত সম্পূর্ণ সুস্থ হইতে পারেন নাই। যতক্ষণ তিনি গীতার শ্লোকগুলি পাঠ করিতেছিলেন, ঠাকুর মহাশয় তাঁহার আসনে স্থির ভাবে বসিয়াছিলেন। আবৃত্তি শেষে ব্রাহ্মণের অবস্থা দেখিয়া ঠাকুর বলিলেন, ‘ওনারে একটু গরম দুধ খাওয়াইয়া বাড়ী পৌঁছাইয়া দেন। একটুকু বিশ্রাম করলেই ঠিক হইয়া যাইব।” উপরিউক্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সদানন্দ চক্রবর্ত্তী মহাশয়।
( জয়রাম, জয়গোবিন্দ।
ফেইসবুক থেকে সংগ্রহীত।



পূর্ণব্রহ্ম সনাতন, সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় কারণ, সত্যনারায়ণ, আমিই সেই রামঠাকুর। ” পূর্ণব্রহ্ম সনাতন, সৃষ্টি স্থিতি প্রলয় কারণ, সত্যনারায়ণ, আমিই সেই রামঠাকুর। ” Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on 14:12 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.