..............

সেইদিন থাইকা এই প্রসাদের নাম হইল মালসা ভোগ। এই বলিয়া ঠাকুর কিছু সময় নীরব থাকিয়া ধীরে ধীরে বলিয়া উঠিলেন, আমিই গৌরাঙ্গদেব।

সেইদিন থাইকা এই প্রসাদের নাম হইল মালসা ভোগ। এই বলিয়া ঠাকুর কিছু সময় নীরব থাকিয়া ধীরে ধীরে বলিয়া উঠিলেন, আমিই গৌরাঙ্গদেব। 




পরদিন ২১শে চৈত্র প্রাতঃকালে ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন, রাজসূয় যজ্ঞে মালসা ভোগ দেন নাই? প্রমথবাবু জানাইলেন,“হ্যঁ বাবা মালসা ভোগ দেওয়া হয়েছে। ”
ঠাকুর— মালসা ভোগ দেওয়া হইছে, অথচ আমি বঞ্চিত হইলাম।  একদিনও দেন নাই। ঠাকুরের প্রিয় পরিষদগণ প্রায় সকলে সেখানে উপস্থিত । সকলে অধোবদনে রহিলেন। কৈলাসদা করজোড়ে দাঁড়াইয়া বলিলেন, “বাবা, আমাদের মহাভুল হয়ে গেছে।” আমাদের একজনেরও তিন দিনের মধ্যে মনে পড়ল না, এটাই পরম আশ্চর্যের বিষয়। আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।” ঠাকুর হাসিয়া বলিলেন, অন্য কিছু না ভুল ধইরা দিলাম। ঠাকুর কিছুক্ষণ নীরব থাকিয়া বলিলেন,এই ভোগের নাম মালসা ভোগ হইল কেন শুনেন।  একদিন শ্রীবাসঅঙ্গনে উৎসবের আয়োজন হয়। ভক্তরা  প্রত্যূষে কীর্তন আরম্ভ করিয়া রাত ১২টায় কীর্তন সমাপন করেন। সেদিন মহাপ্রভু কীর্তনে কখনও হাসি, কখনও কান্না, কখনও উদ্দণ্ড নৃত্যে এতই বিভোর ছিলেন যে, ভক্তরা প্রভুরে প্রসাদ গ্রহণ করতে বলার সুযোগ ও সাহস পান নাই। কীর্তনান্তে মহাপ্রভু সুস্থ হইয়া গদাধররে কইলেন, গদাধর আজ তোমরা আমারে মহাপ্রসাদ দেও নাই। আমি ক্ষুধার্ত। আমারে প্রসাদ দেও। এই কথা শুইনা শ্রীবাস, গদাধরাদা ভক্ত অন্দরমহলে গিয়া দেখেন কিছুমাত্র প্রসাদ নাই।  তাঁরা ম্লানবদনে অবনত শিরে মহাপ্রভুর সামনে দণ্ডায়মান থাকায় প্রভু জিজ্ঞাসা করিলেন, কি হইল, অমারে প্রসাদ দিলা না?

গদাধর সাশ্রুনেত্রে নিবেদন করিল, “প্রভু, প্রসাদ বিন্দুমাত্র অবশিষ্ট নাই” তা শুনিয়া প্রভু উক্তি করিলেন, প্রসাদের শেষ নাই।  প্রসাদ কখনো শেষ হয় না তোমরা যাও। গিয়া যেই যেই পাত্রে যেই যেই জিনিস ছিল সেই সকল পাত্র পরিস্কার কইরাঅন্য একটা পাত্রে সমস্ত জিনিস একত্র কইরা প্রসাদ তৈয়ার কর। প্রভুর আদেশে ভক্তরা পুনরায় অন্দরে গিয়া সব পাত্র পরিস্কার কইরা ঘৃত, দধি, মধু, খই, বাদাম, কিসমিস, মনাক্কা, জায়ফল ইত্যদি সংগ্রহ কইরা আনন্দভরে আইসা মহাপ্রভুর সামনে পাত্রটি রখলেন। প্রভু দেইখা কইলেন,একি?এইখানে রাখছ কেন? সব জিনিস একসঙ্গে মিলাইয়া প্রসাদ তৈয়ার কইরা সকলেরে দেও,আমারেও  দেও। ( পাঠক পাঠিকা লক্ষ্য করিবেন, ঠকুরের কথার রকম কিভাবে মোড় নিতেছে) গদাধর প্রসাদ তৈয়ার কইরা সকলেরে দিল, আমারেও যথেষ্ট পরিমাণ প্রসাদ দিল। আমি অতীব ক্ষুধার্ত ছিলাম বইলা পরম তৃপ্তি সহকারে পেট ভইরা প্রসাদ পাইলাম। সেইদিন থাইকা এই প্রসাদের নাম হইল মালসা ভোগ। এই বলিয়া ঠাকুর কিছু সময় নীরব থাকিয়া ধীরে ধীরে বলিয়া উঠিলেন, আমিই গৌরাঙ্গদেব। সঙ্গে সঙ্গে মধুদা “শ্রীগুরু গৌরাঙ্গদেব প্রীতে” হরিধ্বনি দিয়া উঠিলে ঠাকুরের তন্ময়তা  ভঙ্গ হইয়া গেল। 

(“রামভাই স্মরণে” পুস্তক  হইতে )
ফেইসবুক  থেকে সংগৃহীত। 
জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম 
জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম 
জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম 
জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম 
জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম 
জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম 
জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম 
জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম ,জয় রাম, জয় রাম। 











সেইদিন থাইকা এই প্রসাদের নাম হইল মালসা ভোগ। এই বলিয়া ঠাকুর কিছু সময় নীরব থাকিয়া ধীরে ধীরে বলিয়া উঠিলেন, আমিই গৌরাঙ্গদেব। সেইদিন থাইকা এই প্রসাদের নাম হইল মালসা ভোগ। এই বলিয়া ঠাকুর কিছু সময় নীরব থাকিয়া ধীরে ধীরে বলিয়া উঠিলেন, আমিই গৌরাঙ্গদেব। Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on 09:48 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.