..............

ঠাকুর মাছ মাংস কি খাওয়া যাবে?

 

ঠাকুর মাছ মাংস কি খাওয়া যাবে?না ছাড়তে হবে?



ঠাকুর মাছ মাংস কি খাওয়া যাবে?না ছাড়তে হবে?

এই বিষয়ে ঠাকুর যাহা বিস্তারিত বলিয়াছিলেন তাহা উপস্থাপন করিলাম
ঠাকুর বলিয়াছিলেন
.

"খাইয়েন। কিন্তু যখন ইচ্ছা করবো না তখন আর খাইয়েন না।" কেন জানিনা জগদীশ্বরের ভজনের বেলায় ভোজন টাও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। কেহ কেহ বলেন মাছ মাংস খেলে সাধন-ভজন হয়না,
ঈশ্বর মিলে না। তাই এসব ছাড়তে হবে, নিরামিষ খেতে হবে। এই প্রস্তাবনা অতি উৎকৃষ্ট ও অতি চমৎকার।
কিন্তু যে প্রশ্নটি মনে জাগে তা হলো শুধু মাছ মাংস ছাড়লেই নিরামিষভোজন করলেই ঈশ্বর দর্শন মিলবে? নাকি একসাথে আরো কিছু লাগবে?

.
অন্তরের কামনা-বাসনা লালসা অহংকার অভিমান চালবাজি ঠকবাজ
ি ধান্দাবাজি না ছেড়ে শুধু মাছ-মাংস ছেড়ে কি কোনো লাভ হবে? আর মাছ মাংসকে ভয় করেই বা লাভ কি?


এ দেহই তো একটা মাংসপিণ্ড। এই হৃদিস্থানেই ঈশ্বর সদা বিরাজমান। তিনিও একটি রক্তমাংসের দেহ মন্দিরে অবস্থান করেন। তাই এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ কি? যে জিহ্বায় যে কন্ঠে ঈশ্বরের নাম সংকীর্তন হয় সকল দেব দেবীর নাম ও ভজন পূজন হয় তাও তো রক্তমাংসের। যে নিত্যানন্দ মৃদঙ্গ বাজিয়ে নামানন্দ কীর্তন হয় এতেও যদি জীবের চামড়াই থাকে তাহলে বাচ বিচার করব কাকে? তবে যখন কোন কিছু খেতে অনিচ্ছা হয় তাতো আর খাওয়া যায় না। জোর করে খেলেও বমি হয়ে বেরিয়ে যায়। আর তাই মাছ-মাংস খেতে যখন অনিচ্ছা হয় তখনই এটা প্রকৃত ত্যাগ হয়। না হলে অন্তরে আসক্তি থেকে গেলে বাইরে ছাড়তে চেষ্টা করলে তা প্রকৃত ত্যাগ হয় না। তবে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করে কোন লাভ নেই এ হলো যার যার ভাব সিদ্ধি লাভ।
তাঁর সেবায় সাত্ত্বিক আহারই কাম্য ও অতি উত্তম। তবে ঠাকুর এসব না খেতে কাহাকেও বাধ্য করেননি, খেতে বাঁধাও দেননি।




......................................................................................................................................................
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

শ্রীঠাকুর বলেন , প্রারব্ধভোগ সকলকেই ভুগতে হয়, কেবল নামেই কিছুটা প্রারব্ধ কাটে)

কুঞ্জলাল মজুমদারের বাড়ীতে শ্রীশ্রী রামঠাকুর ভক্তদের সাথে কথা বলছেন, হঠাৎ ঠাকুর জোরে কুঞ্জবাবুকে ডেকে দরজাটা বন্ধ করে দিতে বললেন। " কুঞ্জবাবু দরজাটা বন্ধ কইরা দেন_ যে লোকটা আসতাছে তার মুখ আমি দেখতে চাই না"।


কুঞ্জবাবুর দরজা বন্ধ করতে একটু দেরী হওয়াতে উক্ত ভদ্রলোক ঠাকুরের ঘরে ঢুকে পড়লেন।
ভদ্রলোক টিকে দেখে ঠাকুর বললেন, " আপনি ভাবছেন আমারে প্রনাম কইরা গিয়া কড়িকাঠে ঝুলবেন, আপনার এতো বড়ো সাহস। আপনারে দফায় দফায় জন্ম নিতে হইব_ এই ঋণ শোধ করার জন্য। সবাই এর স্ত্রীই তো তাদের স্বামীকে যত্ন করেন, তবে আপনার স্ত্রী কেন আপনাকে মুখযন্ত্রণা দেয় , ভাইব্যা দেখছেন কী?



আসেন, আমার দক্ষিণ হাতখানা স্পর্শ কইরা দাঁড়ান_ দ্যাখেন আপনার পূর্বজন্মের কূকীর্তি।"
এবার ভদ্রলোক চিৎকার করে বলতে লাগলেন, " ঠাকুর, আমি আর দেখতে পারছি না, এ যেন সমস্ত শরীরে আগুন জ্বলছে।"


এবার ঠাকুর বললেন _ আজ থাইক্যা ১৪ জন্ম আগে, আজ যিনি আপনার স্ত্রী, আপনি তার প্রতিবেশী ছিলেন। এক খন্ড জমির জন্য আপনাদের মধ্যে বিরোধ বাধে। একদিন গভীর রাতে আপনারা খেয়া নৌকায় নদী পার হইতেছিলেন _ তখন আপনে দেখলেন, যে নৌকা বাইতাছিল সে আর আপনে ও আপনার প্রতিবেশী ছাড়া আর কেউই নৌকায় নাই । নৌকা যখন মাঝনদীতে আপনে হঠাৎ উইঠ্যা আপনার প্রতিবেশী _ এ জন্মে যিনি আপনার স্ত্রী _ তারে ধাক্কা দিয়া জলে ফেইল্যা দিছেন। আপনে দেখতে পাইতাছেন?"
ভদ্রলোকটি আর্তকন্ঠে বললেন_ "

হ্যাঁ বাবা, দেখতে পাচ্ছি, আর দেখতে চাই না, আপনি আমাকে ক্ষমা করেন "।
ঠাকুর ভদ্রলোককে আরও বললেন _ " এর পর ঐ রাত্রেই আপনে আপনার প্রতিবেশীর বাড়ীতে আগুন লাগাইয়া দেন এবং প্রতিবেশীর পরিবারের সবাই আগুনে পুইড়্যা মরে।

...
এরপর থিকা আপনাদের বারবার জন্ম নিতে হইছে।। কখনও আপনি স্ত্রী_ প্রতিবেশী স্বামী, কখনও বা প্রতিবেশী স্ত্রী _ আপনি স্বামী। এই জন্মে আপনার সদগুরুর আশ্রয় লাভ হইছে বইল্যাই আপনার স্ত্রী বাক্যযন্ত্রণা দিয়াই আপনাকে রেহাই দিতাছে _ তা না হইলে আপনার মুখে ঝামা ঘইষ্যা দিত।"
তারপর ঠাকুর ভদ্রলোককে আরও জোরে ধমক দিয়ে বললেন_ "যান এ স্ত্রীকেই গিয়া সেবা করেন, আপনার স্ত্রীর মধ্যেই আমি আছি"

............
শ্রীশ্রীঠাকুর বলেন , প্রারব্ধভোগ সকলকেই ভুগতে হয়, কেবল নামেই কিছুটা প্রারব্ধ কাটে।

ঠাকুর মাছ মাংস কি খাওয়া যাবে? ঠাকুর মাছ মাংস কি খাওয়া যাবে? Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on 21:45 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.