" বিশুদ্ধ ভক্তি লাভ হইলেই প্রেম লাভ হয়, সেই প্রেমেই কৃষ্ণচন্দ্র মিলন ঘটে। উৎসব কি সভার মধ্যে তিনি থাকেন না"
কখানা চিঠিতে ঠাকুর লিখিয়াছিলেন :-
" বিশুদ্ধ ভক্তি লাভ হইলেই প্রেম লাভ হয়, সেই প্রেমেই কৃষ্ণচন্দ্র মিলন ঘটে। উৎসব কি সভার মধ্যে তিনি থাকেন না"
(বেদবানী প্রথম খন্ড ১১১নং)
উৎসবাদির মধ্যে যদি তিনি না থাকেন, তাহা হইলে উহারা শিবহীন, দক্ষযজ্ঞেরই নামান্তর। কিন্তু এ কথাও অনস্বীকার্য্য যে ঠাকুর নিজে উৎসবাদির ব্যবস্থাও করিয়া গিয়াছেন। তাহা হইলে ইহার সামঞ্জস্য কোথায় ? যখন ঐ চিঠিখানা আমার (ঠাকুরের অতিপ্রিয় ভক্ত ডক্টর ইন্দুভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়) হাতে আসে তাহার কয়েক দিন পরেই ঠাকুর আমার বাড়িতে শুভাগমন করিয়াছিলেন। আমি তখন তাঁহাকে এই প্রশ্নই করিয়াছিলাম, আমি বলিয়াছিলাম যে উৎসবাদির ব্যবস্থা ত সকল ধর্ম্মেই আছে, শৈব, শক্ত, গাণপত্য, বৈষ্ণব, খৃষ্টান, মুসলমান, সকলেরই নানাবিধ উৎসব আছে, এগুলি কি একেবারেই নিরর্থক ? তাহাই যদি হয় তবে ইহাদের প্রবর্তন হইয়াছে কেন ?
ঠাকুর বলিয়াছিলেন :-
" ইহারা স্মারক, ইহারা ইষ্টস্মৃতি জাগাইয়া তোলে এবং তাহাতেই ইহাদের সাথ্যকতা।"
পরে আবার বলিলেন, "কিন্তু আপনারা খিচুড়ী শুধু মুগের ডালের হইবে, না অন্য ডালও থাকিবে, এই জাতীয় তর্ক লইয়া এমন মাতিয়া উঠেন এবং এমন হৈ চৈ বাঁধাইয়া তোলেন যে উৎসবের আসল উদ্দেশ্যই অনেক সময় ব্যর্থ হইয়া যায়।"
সুতরাং সকল সময়েই লক্ষ্য রাখিতে হইবে ইষ্ঠ নিষ্ঠার দিকে এবং যাহা কিছু তাহার পরিপন্থী বা বাধক, তাহাকেই অকাতরে বর্জন করিতে হইবে। লক্ষ্য স্থির রাখিয়া অত্যন্ত সতর্কতার সহিত না চলিলে নানা প্রকার আগাছা পরগাছার আবর্জনায় আত্মসম্বিৎ হারাইয়া ফেলিতে হয়।
ঠাকুর বলিতেন, "এক সাধে সব পায়, বহু সাধে সব যায়।"
লেখাটা নিয়েছি, বেদবানী দ্বিতীয় খণ্ড হইতে।
লিখেছেন, ঠাকুরের পরম ভক্ত
ডক্টর ইন্দুভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
জয় রাম জয় গোবিন্দ
গুরু কৃপাহি কেবলম্
" বিশুদ্ধ ভক্তি লাভ হইলেই প্রেম লাভ হয়, সেই প্রেমেই কৃষ্ণচন্দ্র মিলন ঘটে। উৎসব কি সভার মধ্যে তিনি থাকেন না"
Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL
on
12:42
Rating:
No comments: