..............

সত্যপীরবেশী শ্রীশ্রীসত্যনারায়ণের চিত্রপট সৃষ্টির ইতিকথাঃ

 সত্যপীরবেশী শ্রীশ্রীসত্যনারায়ণের চিত্রপট সৃষ্টির ইতিকথাঃ

বাংলার বুকে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ ঘোষিত হওয়ার কিছুদিন আগের কথা। ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব। রাস্তায় রাস্তায় ক্ষুধার্ত মানুষের মিছিল। --১৯৪১ খ্রীষ্টাব্দ, শ্রীশ্রীরামঠাকুর গোপনে আছেন, ভক্তপ্রবর মাধব মজুমদার মশাইয়ের কলকাতার বাড়িতে। - একদিন ঠাকুর মাধব মজুমদারের সহধর্মিনীকে বললেন, "মা আপনার পরনের সায়ার মত আমারে একটা পেটিকোট বানাইয়া দেন, একটু যেন বড় সড় হয়"। এই বলে তিনি নিজের পায়ের কাছে হাত এনে কতটা ঝুল হবে তা বুঝিয়ে দিলেন। - দিন দুয়েকের মধ্যেই মজুমদার মহোদয়া নূতন কাপড়ের এক সায়া বানিয়ে ঠাকুরের হাতে দিলেন।
.
- এক ছুটির সকালে, ডঃ যতীন্দ্র মোহন দাশগুপ্ত ও পূর্ণ গাঙ্গুলী মশাই দুজনেই সস্ত্রীক এলেন মাধব বাবুর বাড়িতে। এসে দেখেন শ্রীশ্রীরামঠাকুর শ্রীমুখ সাদা গোঁফ - দাড়িতে ভরা। তিনি সায়া পড়ে বিছানায় বসে আছেন। তাঁকে একটু রোগা লাগছে, তবে এই বেশে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে। ডাক্তারবাবু যথারীতি ঠাকুরের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষ করে সবার সাথে এসে বসলেন। ডাক্তার গৃহিনী তখন চুপি চুপি তাঁকে বললেন, "এই বেশে ঠাকুরের একটা ছবি তুলে রাখলে কেমন হয়?" - ডাক্তারবাবু ও পূৰ্ণবাবুর ব্যবস্থাপনায় কিছুক্ষন পরেই, আলোকচিত্রী শিল্পী (ফটোগ্রাফার) এলেন, ঠাকুরের ছবি তুলতে। - সবাই দেখেন ঠাকুর তাঁর গায়ে, পরনের সায়ার ওপর বেশ বড় এক সাদা চাদর জড়িয়ে নিয়েছেন। - ফটোগ্রাফার ভদ্রলোক, ঘরের কোণে রাখা হাতল দেওয়া কাঠের চেয়ারটা ঘরের যেখানে ভালো আলো আসে সেখানে রেখে শ্রীশ্রীঠাকুরকে অনুরোধ করলেন তাতে বসতে। - দেখা গেল নির্লিপ্ত এক বিশেষ ভঙ্গিমায় ঠাকুর চেয়ারে বসে আছেন। এবার ফটোগ্রাফার ভদ্রলোক ঠাকুরের অনুমতি নিয়ে ছবি তুলে নিলেন।
.
কিছুদিন পরের কথা। ওনারা ছবি নিয়ে মাধব বাবুর বাড়ি এলেন। ঠাকুরকে দেখান হলো সেই দিনের তোলা ছবি। ছবি দেখে শ্রীশ্রীরামঠাকুর বলেন, "ইনি সত্যপীর - সত্যনারায়ণ। সিন্নী দিয়া সকল কামনা বাসনা এনারেই জানাইবেন, কৈবল্যনাথের কাছে কিছুই প্রার্থনা করিতে নাই।"
জয় রাম। জয় গোবিন্দ



সত্যপীরবেশী শ্রীশ্রীসত্যনারায়ণের চিত্রপট সৃষ্টির ইতিকথাঃ সত্যপীরবেশী শ্রীশ্রীসত্যনারায়ণের চিত্রপট সৃষ্টির ইতিকথাঃ Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on 18:46 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.