বেদবাণী প্রথম খণ্ড (৩৯৪)নং পত্রাংশ। শ্রী শ্রী রামঠাকুর।”
“ভাগ্যের ঘটনার মর্মার্থ এবং সত্যব্রতের গুরুত্ব”।
দয়াল গুরু শ্রীশ্রী ঠাকুর এর চরণ কোমল এ শতকোটি প্রণাম জানিয়ে শুরু করছি।
আজ আমরা আলোচনা করব শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পত্রাংশ, যেখানে ভাগ্যের প্রকৃতি এবং সত্যব্রতের মর্মবাণী সুস্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন এবং শ্রীশ্রী রামঠাকুরের কৃপায় আলোকিত হন।
ভাগ্যের ফল ও সত্যব্রতের তাৎপর্য | শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণী
ভাগ্য হইতে লোক সকল সাঙ্গোপাঙ্গ প্রভৃতির যুক্ত ঘটনা হইয়া থাকে। ভাগ্যে যাহা যার যখন উপস্থিত হইবে তাহা কেহই খণ্ডাইতে পারে না বলিয়াই ভাগ্য ফলদাতা বলিয়া জানিয়া সংকর ক্ষেত্রের সকল ঋণ পরিশোধ করিলে পরলোক ক্ষয়পাত [?] হইতে ত্রাণ হইতে পারে। একেই সত্যব্রত বলিয়া লোকে বলে।
বেদবাণী প্রথম খণ্ড (৩৯৪)নং পত্রাংশ।এর ব্যাখ্যা।
ভাগ্য ও ঘটনাপ্রবাহের সংযোগ:
- ভাগ্যের সঙ্গে সাঙ্গোপাঙ্গ বা পারিপার্শ্বিক ঘটনা ও পরিস্থিতি যুক্ত থাকে।
- যা ভাগ্যে নির্ধারিত, তা যখন আসার সময় হয়, কেউ তা রোধ করতে পারে না।
- তাই ভাগ্যকেই “ফলদাতা” বলা হয়।
সংকর ক্ষেত্র ও ঋণ পরিশোধের তাৎপর্য:
- সংকর ক্ষেত্র বলতে কর্মফল ও ঋণের বোঝা বোঝানো হয়েছে।
- জীবনকালে সকল ঋণ পরিশোধ করলে, পরলোকে ভোগান্তি বা ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়।
- এটি আত্মার মুক্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সত্যব্রতের মর্মার্থ:
- সত্যব্রত হলো এমন একটি ব্রত যা সত্যপথে থাকার জন্য উৎসাহ দেয়।
- এটি শুধুমাত্র ঋণ পরিশোধ নয়, বরং প্রকৃত সত্যের পথ অবলম্বন করার প্রতিজ্ঞা।
- সমাজে এটি আদর্শ ও পুণ্যের প্রতীক হিসেবে পরিগণিত।
“শ্রীশ্রী রামঠাকুরের এই বাণী আমাদের শিক্ষা দেয় যে ভাগ্যকে গ্রহণ করতে হবে এবং সত্য ও কর্তব্যের পথে এগিয়ে যেতে হবে। জীবনকালে সকল ঋণ ও দায়িত্ব পালন করলে আত্মা মুক্তি পায় এবং পরলোকে শান্তি লাভ হয়। আসুন, আমরা সকলেই সত্যব্রতের গুরুত্ব উপলব্ধি করি এবং সেই পথ অনুসরণ করি। শ্রীশ্রী রামঠাকুরের কৃপা সর্বদা আমাদের উপর বর্ষিত হোক। জয়গুরু।”“ভাগ্যকে মেনে নিন, সত্যপথে চলুন, আর শ্রীশ্রী রামঠাকুরের কৃপায় আলোকিত হন।”
“চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং আরও আধ্যাত্মিক ভিডিও দেখুন।”

No comments: