হিন্দুরা মনে করেন তিনি মহাপুরুষ ছিলেন, মুসলমানরা মনে করেন তিনি একজন পীর ছিলেন, আর খৃষ্টানরা মনে করেন তিনি যীশু ছিলেন।

 তাহারা কুণ্ঠাবোধ করে না। হিন্দুরা মনে করেন তিনি মহাপুরুষ ছিলেন, মুসলমানরা মনে করেন তিনি একজন পীর ছিলেন, আর খৃষ্টানরা মনে করেন তিনি যীশু ছিলেন। এই তিন সম্প্রদায়ের লোকজনই নোয়াখালী জেলায় বেশী।
এই যে লোকের অভিব্যক্তি ইহাই শ্রীশ্রীঠাকুরের সর্ব্বত্র সমভাব নিরপেক্ষ দৃষ্টির প্রমাণ স্বরূপ।
যিনি অনাদি, অসীম, অব্যয় অব্যক্ত তাঁহাকে সীমাবদ্ধ মন বুদ্ধির আওতায় আনিয়া ও ব্যক্ত করিবার প্রয়াস পাইয়া মূঢ়তার পরিচয় দিয়াছি তাহাতে আর সন্দেহ নাই।
তিনি রাখিয়া গিয়াছেন জীবের মঙ্গল হেতু তাঁহার শক্তি সঞ্চারিত "গোপাল গোবিন্দ” নাম আশ্রম-মোহন্তের ভান্ডারে অকাতরে বিতরণের জন্য।
"গোপাল গোবিন্দ” নাম মধুর মধুর স্বরে। লইলে নিয়ত অন্তরে অন্তরে (সর্ব্ব) পাপ তাপ হরে।।
শ্রীশ্রীঠাকুর বেদবাণী তৃতীয় খন্ড ১৭৮ নং চিঠিতে বলিতেছেন-
দেখবে শুনবে কইবে না। সার বস্তু ছাড়বে না। সাপ স্বপন পনা। যে না বলে সে একজনা।।
যিনি অব্যক্ত হইয়াও ব্যক্ত, যিনি সদা প্রচ্ছন্ন, যাঁহার প্রচ্ছন্নতার পর্দা কখন কখন প্রকৃতির আলোড়নে সরিয়া যাইয়া চকিতে চোখের সামনে পড়িয়াছে, মনে দাগ কাটিয়াছে তাঁহাকে সীমাবদ্ধ মন বুদ্ধির আওতায় আনিয়া কার্য্যকারণ বিবেচনার অসামঞ্জস্য বলিয়া প্রতীতি হওয়া সত্ত্বেও ব্যক্ত করিবার প্রয়াস পাইয়াছি; যাঁহাকে চিনি নাই, বুঝি নাই তাঁহাকে বুঝাইতে চাহিয়াছি; এই অপরাধের জন্য তাঁহার রাতুল শ্রীচরণযুগলে ক্ষমা প্রার্থনা করি।
শতবার্ষিকী স্মারক গ্রন্হ
চলমান ৪১,,,,,।

হিন্দুরা মনে করেন তিনি মহাপুরুষ ছিলেন, মুসলমানরা মনে করেন তিনি একজন পীর ছিলেন, আর খৃষ্টানরা মনে করেন তিনি যীশু ছিলেন।  হিন্দুরা মনে করেন তিনি মহাপুরুষ ছিলেন, মুসলমানরা মনে করেন তিনি একজন পীর ছিলেন, আর খৃষ্টানরা মনে করেন তিনি যীশু ছিলেন। Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on 07:09 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.