..............

যাঁহারা শ্রীনন্দনন্দন শ্রীকৃষ্ণকে পতিতপাবন, ধর্ম,অর্থ, কাম,মোক্ষের প্রতিভূ বলিয়া অভিমান করেন তাঁহারাই দাস্যভক্তিরসের রসজ্ঞ। দাস্যভক্তের মূল লক্ষ্য সেবাবাসনা। সখ্য,বাৎসল্য ও মধুর রসের সেবকগণ অবশ্য ধর্ম,অর্থ, কাম, মোক্ষ ইত্যাদিকে তুচ্ছ করিয়া পঞ্চম পুরুষার্থ "প্রেম'' কামনা করেন।

 ওঁ নমো ভগবতে শ্রীরামচন্দ্রায় নমো নমঃ ঃ-

শ্রীশ্রী রাম স্তোত্রম্।
প্রাপ্তে কলিযুগে ঘোরে নরাণাং বীক্ষ্য দুর্গতিম্।
গৌরচন্দ্রোহবতীর্য্যাথশচীগর্ভমহার্ণবে।।
💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞💞
শ্রীশ্রী গুরু প্রণাম মন্ত্র ঃ
নিত্যঃ শুদ্ধং নিরাভাসং নিরাকারং নিরঞ্জনম্।
নিত্যবোধং চিদানন্দং গুরুং ব্রহ্ম নমাম্যহম।।
💕💕💕💕💕💕💕💕💕💕💕💕💕
💔💔💔শ্রীগুরু শ্রীরাম চিন্তনে 💔💔💔
💞💞💞💞সেবাধর্ম ২য় পর্ব💞💞💞💞
যাঁহারা শ্রীনন্দনন্দন শ্রীকৃষ্ণকে পতিতপাবন,
ধর্ম,অর্থ, কাম,মোক্ষের প্রতিভূ বলিয়া অভিমান করেন তাঁহারাই দাস্যভক্তিরসের রসজ্ঞ। দাস্যভক্তের মূল লক্ষ্য সেবাবাসনা।
সখ্য,বাৎসল্য ও মধুর রসের সেবকগণ অবশ্য ধর্ম,অর্থ, কাম, মোক্ষ ইত্যাদিকে তুচ্ছ করিয়া পঞ্চম পুরুষার্থ "প্রেম'' কামনা করেন।
কেন তুচ্ছ করেন শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী মহাশয় তাঁহার স্পষ্ট জবাব দিয়াছেন।
তার মধ্যে মোক্ষবাছা কৈতব প্রধান।
যাহা হইতে কৃষ্ণভক্তি হয় অন্তর্ধান।।
যাহাই হউক, শ্রীনন্দ নন্দনকে নন্দিত করিতে সর্বাগ্রে দাস্যরসকেই গ্রহণ করিতে হয়।অর্থাৎ বৈষ্ণবসাহিত্যে দাস্যভক্তিরসই সখ্য বাৎসল্য
মধুরভক্তিরসের আদি সরণী,ইহাই অন্যনাম প্রীতি ভক্তিরস।শ্রীমদ্ রূপ গোস্বামী তাঁহার ভক্তিরসামৃতসিন্ধু গ্রন্থে বলিয়াছেন ঃ--
আত্মোচিতৈবিভাববদৈঃ প্রীতিরাস্বাদনীয়তাম্।।
" আত্মোচিত বিভাবাদি দ্বারা ভক্তদের চিত্তে প্রীতি যদি আস্বাদনীয়তা প্রাপ্ত হয় তবে তাহাকে প্রীতিভক্তিরস বলে।''
বৃন্দাবনে মধুর প্রেমের রাজ্যে প্রবেশ করিতে হইলে অবশ্যই দাস্যভাব গ্রহণ করিয়া স্বয়ং নিত্যকৃষ্ণদাস অভিমানের ভাবুক হইতে হয়।দাস মনে না করিয়া অন্য কোন অভিমান লইয়া থাকিলে ব্রজের ভক্তিরাজ্যে অপরাধ হয়।
আমি দাস যেই তত্ত্বে সেই তত্ত্বসার।
সেই তত্ত্ববেত্তা জনে কর অঙ্গীকার।।
💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖💖
অন্তরে দাস্যভাব না থাকিলে সেবাভাব বিকাশলাভ করে না।দাসের সেবা কে অন্তরে
জাগরুক রাখিয়া ভক্তিরাজ্যে প্রবেশ করিবার
অনুমতি লাভ করিলেই " জীব নিত্য কৃষ্ণদাস'' রূপে পরিগণিত হইবার যোগ্যতা অর্জন করে।
শ্রীবৃন্দাবনধামের নিত্য পরিকর হইবার দুর্লভ সৌভাগ্যলাভ করে।শ্রীবৃন্দাবন ধাম অহংকারী
জাত্যাভিমানী তথাকথিত পণ্ডিতবর্গের জন্য নহে- দাসের জন্য। দাসের অভিমান লইয়া সেবারত গ্রহণ করিলেই বৃন্দাবনে নবীনমাধব মদনমোহনের সান্নিধ্যে লাভ করা যায়। ব্রজাঙ্গনাগণ দাসবৃত্তি গ্রহণ করিয়াই সেবাবাসনা অঙ্গীকার করিয়াছিলেন।💖
যাঁহারা শ্রীনন্দনন্দন শ্রীকৃষ্ণকে পতিতপাবন, ধর্ম,অর্থ, কাম,মোক্ষের প্রতিভূ বলিয়া অভিমান করেন তাঁহারাই দাস্যভক্তিরসের রসজ্ঞ। দাস্যভক্তের মূল লক্ষ্য সেবাবাসনা। সখ্য,বাৎসল্য ও মধুর রসের সেবকগণ অবশ্য ধর্ম,অর্থ, কাম, মোক্ষ ইত্যাদিকে তুচ্ছ করিয়া পঞ্চম পুরুষার্থ "প্রেম'' কামনা করেন। যাঁহারা শ্রীনন্দনন্দন শ্রীকৃষ্ণকে পতিতপাবন, ধর্ম,অর্থ, কাম,মোক্ষের প্রতিভূ বলিয়া অভিমান করেন তাঁহারাই দাস্যভক্তিরসের রসজ্ঞ। দাস্যভক্তের মূল লক্ষ্য সেবাবাসনা। সখ্য,বাৎসল্য ও মধুর রসের সেবকগণ অবশ্য ধর্ম,অর্থ, কাম, মোক্ষ ইত্যাদিকে তুচ্ছ করিয়া পঞ্চম পুরুষার্থ "প্রেম'' কামনা করেন। Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on 15:04 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.