..............

আমার এখন বয়স ঊননব্বই। সুদূর অতীতে শৈশব অবস্থায় অনেকবার ঠাকুর মহাশয়কে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো।

 শ্রীশ্রীরামঠাকুরের চোখে আশ্রিতজন

*********************************
আমার এখন বয়স ঊননব্বই। সুদূর অতীতে শৈশব অবস্থায় অনেকবার ঠাকুর মহাশয়কে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। সেই সকল স্মৃতি বিলীন হয়ে যায়নি। বরং অমলিনই রয়েছে। তবে আজ একটি বার্দ্ধক্যে শোনা ঘটনা পরিবেশন করবো।
ঠাকুর মহাশয় তাঁর আশ্রিতদের কোনোরূপ অমর্য্যদা সইতে পারতেন না। প্রয়োজনে সেই গৃহ পরিত্যাগ করতেন। ছোটো-বড়ো সব বয়সী মানুষকেই তিনি "আপনি" বলতেন। যেন তারা তাঁর কতোকালের পরিচিত ! তিনি অনেক সময়েই স্বমুখে ব্যক্ত করেছেন — আমরা একলগে ছিলাম, একলগে আছি, একলগে থাকবো। আমাগো ছেদও নাই, ভেদও নাই। আশ্রিতদের দেখিয়ে বলতেন — ওনারা আমারে খুব স্নেহ করেন।
আমি অবসরের পর দীর্ঘদিন ঠাকুর মহাশয়ের পরমভক্ত ও পার্ষদ স্বর্গীয় প্রভাত চন্দ্র চক্রবর্তীর মধ্যম পুত্র স্বর্গীয় ফণিভূষণ চক্রবর্তীর ( " শ্রুতিতে রামঠাকুর" এর লেখক ) সঙ্গলাভের সৌভাগ্য হয়েছিলো। ফণিদার মুখ থেকে শুনেছিলাম —
একবার ঠাকুর মহাশয় দক্ষিণ কোলকাতায় কোনো এক ভক্তের বাড়ীতে ভগবৎ-প্রসঙ্গ করছিলেন। ঘরটিতে কোণ-ঠাসা ভীড়। হঠাৎ ভীড় দুই ভাগ করে জনৈক আশ্রিত ঘরে প্রবেশ করে ঠাকুর মহাশয়কে প্রণাম নিবেদন করলেন এবং উচ্চকণ্ঠে সেখানে আসার বিলম্ব হওয়ার কারণ নিবেদন করে বললেন," ঠাকুর মহাশয়, আমাকে ক্ষমা করবেন। আমি একজন মহাপুরুষ দর্শনে গিয়েছিলাম। এই কারণেই বিলম্ব হলো। "
ভদ্রলোক যা ভেবেছিলেন তার উল্টোটিই হলো। ঠাকুর মহাশয় সন্তুষ্ট তো হলেনই না বরং অখুশী হয়ে তিনি নিজ হস্তযুগল সম্প্রসারিত করে বললেন, " এখানে যাহারা আসেন, তাহারা সকলেই এক-একজন মহাপুরুষ। " ঠাকুর মহাশয় প্রকারান্তরে তাঁর আশ্রিতদের কতো বড়ো উচ্চ আসন দিলেন!
তোমার সেবাতে হয় হৃদয়ের গ্রন্থ ক্ষয়,
তোমা বিনা কিছু নাহি জানে।
সদানন্দে হ'য়ে লীন তোমার প্রেমের'ধীন,
পরাপর সেবাগত ধ্যানে।।
— নকুল চন্দ্র দে
অনুলেখকঃ আবীর কুমার দে
আমার এখন বয়স ঊননব্বই। সুদূর অতীতে শৈশব অবস্থায় অনেকবার ঠাকুর মহাশয়কে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। আমার এখন বয়স ঊননব্বই। সুদূর অতীতে শৈশব অবস্থায় অনেকবার ঠাকুর মহাশয়কে দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিলো। Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on 21:07 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.