..............

চেড়ীর শাসন এবং প্রলোভন মুক্তির জন্য কর্ত্তৃত্ব,অর্থাৎ মনে যাহা ভাল বোধ হয়,সেই বেগ সহ্য করিয়া যাইতে যাইতে দেহাদি প্রতিভা মুক্ত হইয়া যখন নিরাময় চিত্ত নির্ম্মলতা প্রাপ্ত হয় তখন আর মায়ামৃগ থাকে না,অর্থাৎ প্রতিমায় প্রলোভিত হয় না।বেদবানী ৩য় খন্ড(৫৭)


চেড়ীর শাসন এবং প্রলোভন মুক্তির জন্য কর্ত্তৃত্ব,অর্থাৎ মনে যাহা ভাল বোধ হয়,সেই বেগ সহ্য করিয়া যাইতে যাইতে দেহাদি প্রতিভা মুক্ত হইয়া যখন নিরাময় চিত্ত নির্ম্মলতা প্রাপ্ত হয় তখন আর মায়ামৃগ থাকে না,অর্থাৎ প্রতিমায় প্রলোভিত হয় না।চেড়ীও থাকে না,দু:খও থাকে না।দানব,রাক্ষস,মানব,এ কোন উপাধি থাকে না।কেবল অনাবরণ আনন্দই বহিয়া যায়।এই অবস্থাকে ভগবানের প্রাপ্ত বলা যায়।সকল জল্পনা কল্পনা,ভালমন্দ বিচার না করিয়া শাস্ত্রমত পতিসেবা করিয়া চলিতে থাকুন,এই পতিসেবাই পরম পদার্থ পদ প্রকাশ করিবে।অন্ধ বিশ্বাসই হউক,স্মৃতি বিশ্বাসই হউক,তাহা না দেখিয়া কেবল সত্যনারায়ণের সেবাপরা হইয়া থাকুন,তাঁহার প্রসাদে পরাশান্তির উৎপন্ন হইয়া পরম সুখ,যাহা বিচ্ছেদ হয় না,তাহাই পাইবেন।বলে, ''বিদ্যাধনমদেনৈব মন্দভাগ্যাশ্চ যে নরা:
পতিসেবাং ন কুর্ব্বন্তি সত্যং সত্যং বদাম্যহম্।''
পতিসেবাং ন কুর্ব্বন্তি সত্যং সত্যং বদাম্যহম্।''পতিসেবা পরং তীর্থং অন্য তীর্থমনর্থকম্
সর্ব্বাতীর্থাশ্রয়ং দেবী সত্যসেবাং বদাম্যহম্।।
অতএব সর্ব্বদা পতি বৈ আর কোন গ্রন্থই না পড়িয়া,কাব্য রচনার অধিপতি না হইয়া স্বভাবসিদ্ধ পতিভক্তি,প্রীতি,শ্রদ্ধাশক্তি আহরণে সর্ব্বদা যত্নশীল হউন পতিসেবা শক্তিতেই আপনাকে দুর্গম,দুর্গতিময় সংসার গারদ বন্ধন মুক্ত করিয়া সত্যলোকে নিত্য-ধামে নিয়া যাইবে সন্দেহ নাই।পতিসেবা ছাড়া এ জগতে কিছুই নাই......[যখন] ক্ষণিক ফলাফল মুক্ত হইয়া পতিসেবাই প্রবল হয়,তখন কালের কবল হইতে পতি উদ্ধার করা যায়।তখন যে ভাব সেই ভাবই পতিসেবা।ভগবৎ সেবায় তারতম্যবুদ্ধি থাকিবে না।স্ত্রীত্ব,পুরুষত্ব অভিমান মাত্রা,আর কিছুই থাকে না; যেমন সাবিত্রী,কালী,দুর্গা,সরস্বতী,গঙ্গা প্রভৃতির পবিত্রতা।ভগবান যাহাকে বলে ভগবতীও সেই অর্থ ই হয়।ইহাতে পাপ পুণ্য ভিন্ন বুদ্ধি থাকে না।পাপ শব্দই ভ্রমমাত্র।

-শ্রী শ্রী রামঠাকুর
বেদবানী ৩য় খন্ড(৫৭)
চেড়ীর শাসন এবং প্রলোভন মুক্তির জন্য কর্ত্তৃত্ব,অর্থাৎ মনে যাহা ভাল বোধ হয়,সেই বেগ সহ্য করিয়া যাইতে যাইতে দেহাদি প্রতিভা মুক্ত হইয়া যখন নিরাময় চিত্ত নির্ম্মলতা প্রাপ্ত হয় তখন আর মায়ামৃগ থাকে না,অর্থাৎ প্রতিমায় প্রলোভিত হয় না।বেদবানী ৩য় খন্ড(৫৭) চেড়ীর শাসন এবং প্রলোভন মুক্তির জন্য কর্ত্তৃত্ব,অর্থাৎ মনে যাহা ভাল বোধ হয়,সেই বেগ সহ্য করিয়া যাইতে যাইতে দেহাদি প্রতিভা মুক্ত হইয়া যখন নিরাময় চিত্ত নির্ম্মলতা প্রাপ্ত হয় তখন আর মায়ামৃগ থাকে না,অর্থাৎ প্রতিমায় প্রলোভিত হয় না।বেদবানী ৩য় খন্ড(৫৭) Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on 17:46 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.