নামের মহিমা – শ্রীশ্রী রামঠাকুরের দীক্ষাবাণী
ভগবানের দাস হইয়া থাকিলে সাধন ভজনের প্রয়োজন হয় না।চেষ্টা করিয়া যাইবেন ফলাফল অদৃষ্টচক্রে প্রকাশ পাইবে।নামের আশ্রয়ে থাকিলে অপ্রাপ্ত বা প্রার্থনা কিছুই থাকে না। নামই জীবকে শিবময় করিয়া দেয়,-ইহাই নামের গুণ। জয় রাম! গুরু কৃপাহি কেবলম!!
🔹 শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণীর ব্যাখ্যা 🔹
📖 "ভগবানের দাস হইয়া থাকিলে সাধন ভজনের প্রয়োজন হয় না।"
➡️ ঠাকুর এখানে বোঝাতে চেয়েছেন যে, যদি কেউ নিজেকে পরম ভক্তি ও শ্রদ্ধার সঙ্গে ভগবানের দাসরূপে সমর্পণ করতে পারে, তাহলে তাঁর আলাদা কোনো সাধনা বা কঠোর তপস্যার প্রয়োজন হয় না। কারণ, প্রকৃত ভক্তি নিজেই একটি মহাসাধনা।
📖 "চেষ্টা করিয়া যাইবেন, ফলাফল অদৃষ্টচক্রে প্রকাশ পাইবে।"
➡️ আমাদের কর্তব্য হলো চেষ্টা করে যাওয়া, কিন্তু ফলাফল আমাদের হাতে নেই। ঈশ্বরের কৃপায় সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে ফল প্রকাশ পাবে। তাই কর্মে অবিচল থাকা এবং বিশ্বাস রাখা—এই নীতিই শ্রেষ্ঠ।
📖 "নামের আশ্রয়ে থাকিলে অপ্রাপ্ত বা প্রার্থনা কিছুই থাকে না।"
➡️ যদি কেউ সত্যিকারভাবে "নাম সংকীর্তন" করে এবং ভগবানের নামে বিশ্বাস রাখে, তবে তাঁর মনে আর কোনো অপূর্ণতা থাকে না। ঈশ্বরের নামই সকল আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে দেয়।
📖 "নামই জীবকে শিবময় করিয়া দেয়,-ইহাই নামের গুণ।"
➡️ "শিবময়" অর্থাৎ পবিত্র, কল্যাণময়। ভগবানের নাম শুধু মুক্তির পথই দেখায় না, বরং জীবকে শুদ্ধ করে, শান্তি ও পরম আনন্দ প্রদান করে। নামস্মরণই সকল পাপ ও দুঃখ ধ্বংস করতে সক্ষম।
💠 উপসংহার:
শ্রীশ্রী রামঠাকুরের এই বাণী আমাদের শেখায় যে, নাম সংকীর্তন ও ঈশ্বরের প্রতি নির্ভরতা জীবনের শ্রেষ্ঠ পথ। আমরা যদি তাঁর দাস হিসেবে জীবন অতিবাহিত করি, চেষ্টা চালিয়ে যাই এবং নামের আশ্রয় গ্রহণ করি, তবে ভগবানের কৃপায় সবকিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটবে।
🕉️ 🙏 জয় রাম! গুরু কৃপাহি কেবলম! 🙏

No comments: