জয় রাম,,
শ্রীঠাকুরঃ-পায়ের বাতের ব্যথা মাঝে মাঝে দেখা দেয়?
,,আমি ঠাকুরের নিকট যাইতে তিনি বলিলেন, পা দুইটা টন টন করছে । আমি পা দুইখানা টিপিতে টিপিতে বলিলাম,"এমন দুরন্ত বাতের ব্যথা নিয়ে বনে-জঙ্গলে ঘুরতে কি করে ?
ঠাকুর- বনে-জঙ্গলে থাকতে কোন রোগ ছিল না ।
প্রশ্ন- তাহলে এ রোগ পেয়ে বসল কেন ?
ঠাকুর- কার্যকারণে পাইছি ।
প্রশ্ন- কার্যকারণ টা কি ?
ঠাকুর- হিমালয় থাইকা নাইমা কলকাতার পাশে বাঁশবেড়িয়া অঞ্চলে গঙ্গার ধারে এক শিবমন্দিরে কিছু দিন ছিলাম । তখন সেইখানের এক গৃ্হস্থ পরিবারের স্বামী-স্ত্রী অনেক বইলা কইয়া আমারে তাগ বাড়ি নিয়া যান । সেইখানে মাঝে মাঝে দুই চার জন রোগীরে বনের লতা, পাতা অসুধ দিতাম । তারা আরোগ্য হইয়া যাইত । এইটা দেইখা স্বামী-স্ত্রী তাগ বাত ব্যাধিগ্রস্ত একমাত্র পুত্রের আরোগ্যের জন্য প্রতিদিন বহু কাকুতি - মিনতী,কান্নাকাটি করত । আমি এড়াইয়া যাইতাম । শেষ পর্যন্ত তাহ আকুলতা সহ্য করতে না পাইরা একদিন রাতে গঙ্গার ধারে বাঁশবনে আসন কইরা এক প্রহর বসছিলাম । তারপর উঠার জন্য অনেক চেষ্টা কইরাও বিন্দুমাত্র নড়তে পারলাম না । বুঝলাম ঐ ছেলের রোগ আমারে ধরছে, আর সেই ছেলে সুস্থ হইয়া গেছে । নিরুপায় ভাবে বইসা আছি এমন সময় দেখি,গুরু (শ্রীরামঠাকুরেরগুরু)একটু দূরে দাঁড়াইয়া আমারে ডাকতেছেন । আমার কাছে আস । আমি কোন মতেই উঠতে পারতেছি না দেইখা তিনি অমার পিছন দিক থাইকা এক লাথি মাইরা আমারে ১৪/১৫ হাত দূরে ফেইলা দিলেন । আমি অতিকষ্টে খোঁড়াইতে খোঁড়াইতে আসলাম । তা দেইখা তিনি বললেন, একটু দোষ রইয়া গেল । এই বইলাই তিনি চইলা গেলেন ।
প্রশ্ন- সেই গৃহস্থ বাড়ি ফিরে গিয়েছিলে কি ?
ঠাকুর- না , আর যাই নাই । সেইখান থাইকা অন্য দিকে চইলা যাই ।
প্রশ্ন- সে ঘটনার পর থেকেই বুঝি পায়ের ব্যথা মাঝে মাঝে দেখা দেয় ?
ঠাকুর- হ । -রামভাই স্মরণে।

Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on 18:00 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.