ধৈর্যের মহিমা ও সত্যনারায়ণের নাম স্মরণের গুরুত্ব | শ্রীশ্রী রামঠাকুরের উপদেশ"শ্রীশ্রী রামঠাকুর বেদবানী ৩য় খন্ড(১০৭) 🌼🌿জয় রাম **জয় শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ🌿🌺
ধৈর্যের মহিমা ও সত্যনারায়ণের নাম স্মরণের গুরুত্ব | শ্রীশ্রী রামঠাকুরের উপদেশ"
শ্রীশ্রী রামঠাকুরের এই বাণী ধৈর্যের মহিমা ও তার আধ্যাত্মিক গুরুত্ব ব্যাখ্যা করছে। এখানে মূলত ধৈর্যের শক্তি, সহিষ্ণুতার প্রভাব এবং সংসার মোহ থেকে মুক্তির পথ নির্দেশিত হয়েছে।
মূল ভাবার্থ:
-
বাজে চিন্তা থেকে মুক্তি:
-
ধৈর্য ধরে সত্যনারায়ণের নাম স্মরণ করলে মনের অস্থিরতা কমবে এবং স্থির চিন্তা আসবে, যা পরম শান্তির দিকে নিয়ে যাবে।
-
-
ধৈর্যই পরম ধর্ম:
-
ধৈর্যই ঈশ্বরের প্রকাশের মাধ্যম।
-
ধৈর্যের দ্বারাই প্রকৃত ধর্ম চর্চা করা সম্ভব।
-
দ্বন্দ্বের মাঝে স্থির থাকতে পারাই প্রকৃত আনন্দ।
-
-
অধৈর্যের ফল ও প্রারব্ধ:
-
অধৈর্যের ফলে সাময়িক লাভ বা সুখ পাওয়া গেলেও তা ক্ষণস্থায়ী।
-
আমাদের ভাগ্য (প্রারব্ধ) জ্ঞান ও বিচারশক্তিকে ঢেকে দেয়, তাই সহিষ্ণুতা দিয়ে তা জয় করতে হবে।
-
-
শরীর, মন ও বুদ্ধির বেগ সহ্য করা:
-
সহিষ্ণুতার মাধ্যমে মন, বুদ্ধি ও শরীরের দ্বৈততা কাটিয়ে শক্তি জাগ্রত হয়।
-
এভাবেই আত্মার শক্তি উদ্ভাসিত হয়।
-
-
সংসার-মায়ার বন্ধন ও তার থেকে মুক্তির উপায়:
-
সংসার-মোহ মানুষকে বিভ্রান্ত করে, হিতাহিত জ্ঞান নষ্ট করে ও নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।
-
একমাত্র ধৈর্য ও ঈশ্বরের নাম স্মরণ করাই এই বিভ্রান্তি থেকে মুক্তির পথ।
-
উপসংহার:
শ্রীশ্রী রামঠাকুর এখানে ধৈর্যের গুরুত্বকে পরম ধর্ম, ঈশ্বরের প্রকাশ ও মুক্তির উপায় হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন। সংসারের দোলাচলে ধৈর্য হারালে মানুষ ভুল পথে পরিচালিত হয়, কিন্তু সত্যনারায়ণের নাম ও সহিষ্ণুতার চর্চা মানুষকে চিরশান্তির দিকে নিয়ে যায়।
🌿 "জয় শ্রীশ্রী সত্যনারায়ণ" 🌿
No comments: