গুরু কৃপাহী কেবলম্.......
"চাহিনা তোমার ঐশ্বর্য্য দয়াল-না চাহি বিভূতি।
অধমে যে চরণে রেখেছ তাতেই বৈকুন্ঠে আছি।।
ঠাকুর মজঃফরপুরে আছেন । প্রতিদিন ঠাকুর গরীবনাথের মন্দিরে গিয়ে গরীবনাথকে প্রনাম করতে আদেশ করলেন পার্ষদ রোহিনী মজুমদারকে । তারপর থেকে প্রতিদিন যেতেন ,পূজোশেষে চরণামৃত পান করে বাড়ি ফিরতেন।
সত্যেন্দ্রচন্দ্র মিত্র মাঝে মাঝে মজঃফরপুরে আসতেন। একদিন সন্ধ্যার পর দুজনেই ঠাকুরের কাছে বসে ছিলেন। ঠাকুর, গরীবনাথ সম্বন্ধে অনেক কথাই বললেন ।
" গরীবনাথ প্রত্যক্ষ দেবতা, ওখানে যে যা মানত করে সে তাই পায়। অনেক মহাপুরুষ ছদ্মবেশে ওখানে আসেন। হনুমানজীও আসেন। আপনারা রোজ ঐ গরীবনাথকে প্রনাম করে আসবেন।"
সত্যেন্দ্রচন্দ্র মিত্র মাঝে মাঝে মজঃফরপুরে আসতেন। একদিন সন্ধ্যার পর দুজনেই ঠাকুরের কাছে বসে ছিলেন। ঠাকুর, গরীবনাথ সম্বন্ধে অনেক কথাই বললেন ।
" গরীবনাথ প্রত্যক্ষ দেবতা, ওখানে যে যা মানত করে সে তাই পায়। অনেক মহাপুরুষ ছদ্মবেশে ওখানে আসেন। হনুমানজীও আসেন। আপনারা রোজ ঐ গরীবনাথকে প্রনাম করে আসবেন।"
#####
একদিন সন্ধ্যায় গরীবনাথের মন্দিরে পৌঁছতে বেশ দেরী হলো । আরতী আরম্ভ হয়ে গেছে। এত ভিড়ে ভেতরে যাওয়া দূরের কথা বারান্দায় ওটাও সম্ভব হয়নি। বারান্দার নীচেই দাঁড়িয়ে ছিলেন রোহিনী মজুমদার আর সত্যেন্দ্রচন্দ্র মিত্র।
পাশেই একজন লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন। লম্বায় প্রায় ৬ফুঠ , সাদা পোশাকে। আরতীর সময় তাঁর চোখ দিয়ে অবিরল ধারায় জল পড়ছিল।
তখন দুজনের কারোর ই আর আরতীর দিকে মন ছিল না। দুজনেরই লোকটির দিকে চোখ। ঠিক হলো আরতীর পর লোকটিকে অনুসরণ করে তার আস্তানার খোঁজ নেবার।
আরতী শেষে লোকটিকে ফটকের কাছে দেখে দুজনেই পিছু নিলেন। কিন্তু রাস্তায় এসে আর তার দেখা পাওয়া যায় নি। যেন মহাশূন্যে বিলীন হলেন।
পাশেই একজন লোক দাঁড়িয়ে ছিলেন। লম্বায় প্রায় ৬ফুঠ , সাদা পোশাকে। আরতীর সময় তাঁর চোখ দিয়ে অবিরল ধারায় জল পড়ছিল।
তখন দুজনের কারোর ই আর আরতীর দিকে মন ছিল না। দুজনেরই লোকটির দিকে চোখ। ঠিক হলো আরতীর পর লোকটিকে অনুসরণ করে তার আস্তানার খোঁজ নেবার।
আরতী শেষে লোকটিকে ফটকের কাছে দেখে দুজনেই পিছু নিলেন। কিন্তু রাস্তায় এসে আর তার দেখা পাওয়া যায় নি। যেন মহাশূন্যে বিলীন হলেন।
ঠাকুরের কাছে সব কথা বলাতে ঠাকুর শুধু বলছিলেন, " এই গরীবনাথের মন্দিরে অনেক মহাপুরুষের পদার্পণ ঘটে"।
ঠাকুর হেসেছিলেন ......ঘুমিয়ে আছেন কি জেগে আছেন বুঝতে পারেন নি রোহিনী মজুমদার। সুন্দর স্বপ্নের মতো দেখলেন, সাদা ষাঁড়ের পিঠে বসে আছেন স্বয়ং মহাদেব। এমন সৌম্য মূর্তি আগে কখনও দেখেননি। হাসি হাসি মুখ , যেন সকল শান্তির আঁধার। মহাদেবের যে প্রতিমূর্তি সাধারণত দেখে অভ্যস্ত তার সাথে কোনো মিল নেই। গায়ের রঙ যেন দুধের সাথে খানিক নীল রঙ মেশানো, মাথায় অর্ধচন্দ্রসহ বিরাজমান। গলায় রুদ্রাক্ষের মালা। হাসি হাসি মুখ। এই মূর্তি দেখে মাটিতে সাষ্টাঙ্গে প্রনাম করেছিলেন । ডানহাত তুলে আশীর্বাদ করেছিলেন মহাদেব। চলে গেলেন, সেই দিকেই চেয়ে ছিলেন রোহিনী মজুমদার। একজন ব্রাহ্মণ তাম্রকুন্ড হাতে চরণামৃত নিতে আদেশ করায় চরণামৃত ও পাণ করলেন । সাধ হলো এই অমৃত স্ত্রী ও পাণ করুক। পরে বোঝা গেলো পুরোটাই ছিলো স্বপ্ন।
হাতে চরণামৃতের সুগন্ধ ছিলো।
ঠাকুরের কাছে পুরো স্বপ্নের কথা জানালেন রোহিনী মজুমদার।
ঠাকুর বললেন , " গরীবনাথকে দর্শন করতে চেয়েছিলেন , দর্শন দিয়ে গেলেন"।
মহাদেবের মাথায় সাপের পরিবর্ত্তে ময়ূরের পাখা দেখা গেল।
ঠাকুর বললেন ," কে বলেছে মহাদেবের মাথায় সাপ আছে, মহাদেবের মাথায় ময়ূরের পাখাই থাকে । আপনি যে রকম চেহারা দেখেছেন মহাদেবের চেহারা সে রকমই"।
গুরু কৃপাহী কেবলম্
ফেইসবুক থেকে সংগ্রহীত।
গোপাল গোবিন্দ। গোবিন্দ গোপাল। জয়রাম। গোপাল গোবিন্দ। গোবিন্দ গোপাল। জয়রাম। গোপাল গোবিন্দ। গোবিন্দ গোপাল। জয়রাম। গোপাল গোবিন্দ। গোবিন্দ গোপাল। জয়রাম। গোপাল গোবিন্দ। গোবিন্দ গোপাল। জয়রাম। গোপাল গোবিন্দ। গোবিন্দ গোপাল। জয়রাম। গোপাল গোবিন্দ। গোবিন্দ গোপাল। জয়রাম। গোপাল গোবিন্দ। গোবিন্দ গোপাল। জয়রাম। গোপাল গোবিন্দ। গোবিন্দ গোপাল। জয়রাম।
গুরু কৃপাহী কেবলম্.......
Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL
on
15:51
Rating:
No comments: