ঠাকুর বলিলেন,আমি বীজমন্ত্রের প্রয়োজন দেখি না।

Image may contain: 2 people, text
বীজ মন্ত্র পাইবার জন্য আমার প্রান আকুলি বিকুলি করিয়া উঠিল। আমি লক্ষ্য করিলাম ঠাকুর একদৃষ্টে আমার দিকে তাকাইয়া আছেন। আমি যন্ত্রচালিতের ন্যায় ঠাকুরের দিকে অগ্রসর হইয়া পাদপদ্মে মাথা রাখিলাম। উঠিয়া দাড়াইলে ঠাকুর বলিলেন,"আমি আপনেরে নাম দেওয়ার জন্য বইসা আছি। নাম নেন। আমি জানাইলাম,"না আমি নাম শুনিব না।আমাকে বীজ মন্ত্র দেন"। ঠাকুর বলিলেন,আমি বীজমন্ত্রের প্রয়োজন দেখি না।
তিনি কৃপা করিয়া নাম ও বীজের মধ্যে পার্থক্য বুঝাইয়া দিলেন। এই প্রসংগে বলিলেন- নাম জন্ম মৃত্যুর অতীত, নামের মধ্য দিয়া গুরুর কৃপা সর্বক্ষন বর্ষিত হয়।
ঠাকুর এই কথাগুলি বলিয়া শেষ করিবার সংগে সংগে আমি মিনতিপুর্ন কাতর কন্ঠে বলিলাম,"আমি নাম নিব'। তিনি কৃপা করিয়া নাম দিয়া বলিলেন, এই আপনার নাম। এই নামের মধ্যে আমারে পাইবেন। আমি শ্রীপাদপদ্মে আমার দেহ, মন, প্রাণ সমর্পন করিলাম।
গৃহে আসিয়া পিতামাতার চরণ বন্দনা করিয়া আশির্বাদ গ্রহন করিলাম। মাতৃজটর হইতে জন্মলাভ করিয়াছিলাম বৃহস্পতিবার। সদগুরু হইতে দীক্ষারুপ নবজন্ম লাভ করিলাম বৃহস্পতিবার।
*রামভাই স্মরনে*-ফনীন্দ্রকুমার মালাকার।

ঠাকুর বলিলেন,আমি বীজমন্ত্রের প্রয়োজন দেখি না। ঠাকুর বলিলেন,আমি বীজমন্ত্রের প্রয়োজন দেখি না। Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ on 08:35 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.