ডাকার মত ডাকিতে পারিলে পাষান যে প্রতিমা তাহাও প্রানবন্ত হইয়া উঠে।
চিতোরে এক রাণার গৃহে ঠাকু্র প্রায় চারি বৎসর তাঁহাদের গুরুরুপে অবস্থান করিয়াছিলেন। রানাসাহেব প্রত্যেহ কলসীপুর্ণ দুগ্ধে ঠাকুরকে স্নান করাইয়া পুজা করিতেন। রাণাসাহেব চিরদিনের মত ঠাকুরকে আশ্রমে রাখিতে চাহিয়াছিলেন কিন্তু ঠাকুর সে ইচ্ছা পুর্ণ না করিয়া চলিয়া আসিলেন।
একদিন রাণাসাহেব ও রাণীসাহেবা উভয়েই স্বপ্নে দেখিলেন যে, একজন মহাপুরুষ তাঁহাদের বলিতেছেন, “তোমরা কাশী যাও। সেখানে তোমাদের আরাধ্য দেবতার দর্শণ মিলবে”। কাল বিলম্ব না করিয়া তাঁহারা কাশীতে আসিলেন এবং আউধগর্ব্বি অঞ্চলে একটি বাড়ী ভাড়া করিয়া বাস করিতে লাগিলেন। বিশ্বনাথ দর্শণ এবং ঠাকুরের অনুসন্ধান এই ছিল তাঁহাদের কাজ। এইভাবে একমাস অতিবাহিত হইয়া গেল, ঠাকুরের সন্ধানে ঘুরিয়া ঘুরিয়া কোন সন্ধান মিলিল না। হঠাৎ একদিন স্বামী-স্ত্রী দুই জনেই ভীষন জ্বরে আক্রান্ত হইয়া একই ঘরে পৃথক বিছানায় শুইয়া আছেন। খুব নিরাশ হইয়া ভাবিলেন ঠাকুর দর্শণ-তাহাদের ভাগ্যে আর ঘটিল না। দারোয়ানকে ডাকিয়া রানা সাহেব বলিলেন, “আমাদের ভাগ্যে আর গুরুর চরণ দর্শণ ঘটিল না, তুমি একটু বিশ্বনাথের চরণামৃত লইয়া আইস”। দারোয়ান বিশ্বনাথের চরাণামৃত লইয়া সদর গেটের সম্মুখে দেখিতে পাইল, শ্রীশ্রীঠাকুর দন্ডায়মান। সে ঠাকুরকে প্রনাম করিয়া রানা দম্পতির অসুস্থতার কথা অদ্যোপান্ত বিবৃত করিল এবং ঠাকুরকে ঐ বাড়ী যাইবার জন্য কাতর আহবান জানাইল। ঠাকুর দারোয়ানের সহিত বাড়ী পৌছিলে রানাসাহেবের পুত্র ঠাকুরের শ্রীহস্ত ধরিয়া লইয়া গেলেন। ঠাকুর বলিয়াছিলেন যে, “রানাসাহেবের পুত্র তাঁহাকে সাহেবী কায়দায় ‘হ্যান্ডশেক’ করিয়া লইয়া গেল”। রানা দম্পতির নিকট ঠাকুরের আগমন সংবাদ পৌছিবার পুর্বেই ঠাকুর স্বয়ং তাহাদের শয়ন ঘরে উপস্থিত হইলেন। দুই জনেই ‘গুরুদেব’ বলিয়া ঠাকুরের শ্রীচরণে সাষ্টাঙ্গে প্রণিপাত করিলেন কিন্তু আর উঠিলেন না। প্রণামরত অবস্থায় তাঁহারা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করিলেন।
কিছু সময় ঠাকুর ঐ ঘরে থাকিয়া উপস্থিত সবাইকে বলিলেন, “দুইজনকেই যেন শ্বেতবস্ত্রে একই শয্যায় শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একই চিতায় সৎকার করা হয়”। অতঃপর ঠাকুর সেই স্থান ত্যাগ করিয়া চলিয়া আসিলেন।
ভক্তের অন্তর যখন গুরু দর্শণের জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠে তখন তিনি যেখানেই থাকুন না কেন, ভক্তের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হন। ডাকার মত ডাকিতে পারিলে পাষান যে প্রতিমা তাহাও প্রানবন্ত হইয়া উঠে। ঠাকুরের শ্রী মুখের বাণী-“ফটোও কথা কয়’।কিছু সময় ঠাকুর ঐ ঘরে থাকিয়া উপস্থিত সবাইকে বলিলেন, “দুইজনকেই যেন শ্বেতবস্ত্রে একই শয্যায় শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয় এবং একই চিতায় সৎকার করা হয়”। অতঃপর ঠাকুর সেই স্থান ত্যাগ করিয়া চলিয়া আসিলেন।ভক্তের অন্তর যখন গুরু দর্শণের জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠে তখন তিনি যেখানেই থাকুন না কেন, ভক্তের সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হন। ডাকার মত ডাকিতে পারিলে পাষান যে প্রতিমা তাহাও প্রানবন্ত হইয়া উঠে। ঠাকুরের শ্রী মুখের বাণী-“ফটোও কথা কয়’।
“শ্রীগুরু রাম ঠাকুর”
ডাকার মত ডাকিতে পারিলে পাষান যে প্রতিমা তাহাও প্রানবন্ত হইয়া উঠে।
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ
on
19:13
Rating:

No comments: