,ঠাকুর মাসাধিক কাল যাবৎ সিমলা পাহাড়ে তাঁহার ভবনে অব অস্থান
ঠাকুরের আশ্রিত একটি ভক্ত পরিবারের সে সময়ে ভ্রাতাদের মধ্যে তীব্র মনান্তর চলিতেছে। পরিবারটি বিত্তশালী,এই ভ্রাতৃবিরোধ শীঘ্র প্রশমিত না হইলে বিপর্যয় হইবে বলিয়া বন্ধু বান্ধবরা আশঙ্কা করিতেছেন। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাটি সেদিন কলেজ ষ্ট্রীটের মোড়ে তাঁহার গাড়ীতে চড়িয়া যাইতেছেন।হঠাৎ দেখিলেন,ঠাকুর ঐ গাড়ীর নিকটে দন্ডায়মান। সে কি? ঠাকুর এই সময় এইখানে?ভক্তটি বড়ই বিস্মিত হইলেন।তাই তো,তিনি কলিকাতা উপস্থিত হইয়াছেন সে খবরই তাঁহারা কেহ পান নাই।
ব্যস্তসমস্থ হইয়া ঠাকুরকে তিনি প্রনাম করিলেন।সযত্নে তাঁহাকে গড়ীতে নিয়া বসানো হইল। ক্ষনপরেই তিনি জনান্তিকে বলিয়া যাইতে লাগিল, “রাজা ধৃতরাষ্টের তো শতপুত্র ছিল।এদের স্বভাব চরিত্রের কুখ্যাতি আছে,নানা দুষ্কৃতির কথাও শোনা যায়।কিন্তু সারা মহাভারত খুজলেও এই একশত ভাইয়ের আত্মকলহ তো দূরে থাক মতান্তরের কথাটিও পাওয়া যায় না”।
পরম শান্ত,নির্ব্বিকার ঠাকুরের কথা কয়টি শানিত ছুরির মত ভক্তের মর্ম্মমুলে গিয়া বিধিঁল। ছোট ভাইদের বিরুদ্ধে মনের অন্তস্থলে যে ঈর্ষা ও ক্ষোভ এতকাল পুঞ্জিভুত হইয়া উঠিতেছিল,এক মুহুর্ত্তেই তাহা ধুলিসাৎ হইয়া গেল।
ভক্তটির মন একেবারে হাল্কা হইয়া গিয়াছে।তিনি স্থির করিয়া ফেলিলেন বিত্তবিষয় সম্পর্কিত এই বিরোধের অবসান এবার না ঘটাইয়া ছাড়িবেন না।
ঠাকুরকে বসাইয়া রাখিয়া তিনি কয়েক মিনিটের জন্য গাড়ী হইতে নামিলেন। বলিয়া গেলেন,এখনি কর্মচারীদের তিনি উপযুক্ত নির্দেশ দিয়া ফিরিয়া আসিতেছেন।
ফিরিয়া আসিলে দেখা গেল,ঠাকুর গাড়ী হইতে কোথায় চলিয়া গিয়াছেন।কলিকাতার সম্ভাব্য স্থানগুলিতে অনেক খোঁজখবর করা হইল,কিন্তু তাঁহার সন্ধান কোথাও মিলিল না।অবশেষে সকলের পরামর্শে ঠাকুরের বিশিষ্ট ভক্ত শ্রী সত্যেন মিত্রের নিকট সিমলায় চিঠি দিলেন।উত্তরে যাহা জানিলেন তাহাতে বিস্ময় তাঁহার চরমে পৌছিঁল।শ্রীমিত্র লিখিয়াছেন,ঠাকুর মাসাধিক কাল যাবৎ সিমলা পাহাড়ে তাঁহার ভবনে অব অস্থান করিতেছেন এবং সেই দিন অবধি এই শৈলাবাস ছাড়িয়া অন্য কোথাও যান নাই।
ঠাকুরের আশ্রিত একটি ভক্ত পরিবারের সে সময়ে ভ্রাতাদের মধ্যে তীব্র মনান্তর চলিতেছে। পরিবারটি বিত্তশালী,এই ভ্রাতৃবিরোধ শীঘ্র প্রশমিত না হইলে বিপর্যয় হইবে বলিয়া বন্ধু বান্ধবরা আশঙ্কা করিতেছেন। জ্যেষ্ঠ ভ্রাতাটি সেদিন কলেজ ষ্ট্রীটের মোড়ে তাঁহার গাড়ীতে চড়িয়া যাইতেছেন।হঠাৎ দেখিলেন,ঠাকুর ঐ গাড়ীর নিকটে দন্ডায়মান। সে কি? ঠাকুর এই সময় এইখানে?ভক্তটি বড়ই বিস্মিত হইলেন।তাই তো,তিনি কলিকাতা উপস্থিত হইয়াছেন সে খবরই তাঁহারা কেহ পান নাই।
ব্যস্তসমস্থ হইয়া ঠাকুরকে তিনি প্রনাম করিলেন।সযত্নে তাঁহাকে গড়ীতে নিয়া বসানো হইল। ক্ষনপরেই তিনি জনান্তিকে বলিয়া যাইতে লাগিল, “রাজা ধৃতরাষ্টের তো শতপুত্র ছিল।এদের স্বভাব চরিত্রের কুখ্যাতি আছে,নানা দুষ্কৃতির কথাও শোনা যায়।কিন্তু সারা মহাভারত খুজলেও এই একশত ভাইয়ের আত্মকলহ তো দূরে থাক মতান্তরের কথাটিও পাওয়া যায় না”।
পরম শান্ত,নির্ব্বিকার ঠাকুরের কথা কয়টি শানিত ছুরির মত ভক্তের মর্ম্মমুলে গিয়া বিধিঁল। ছোট ভাইদের বিরুদ্ধে মনের অন্তস্থলে যে ঈর্ষা ও ক্ষোভ এতকাল পুঞ্জিভুত হইয়া উঠিতেছিল,এক মুহুর্ত্তেই তাহা ধুলিসাৎ হইয়া গেল।
ভক্তটির মন একেবারে হাল্কা হইয়া গিয়াছে।তিনি স্থির করিয়া ফেলিলেন বিত্তবিষয় সম্পর্কিত এই বিরোধের অবসান এবার না ঘটাইয়া ছাড়িবেন না।
ঠাকুরকে বসাইয়া রাখিয়া তিনি কয়েক মিনিটের জন্য গাড়ী হইতে নামিলেন। বলিয়া গেলেন,এখনি কর্মচারীদের তিনি উপযুক্ত নির্দেশ দিয়া ফিরিয়া আসিতেছেন।
ফিরিয়া আসিলে দেখা গেল,ঠাকুর গাড়ী হইতে কোথায় চলিয়া গিয়াছেন।কলিকাতার সম্ভাব্য স্থানগুলিতে অনেক খোঁজখবর করা হইল,কিন্তু তাঁহার সন্ধান কোথাও মিলিল না।অবশেষে সকলের পরামর্শে ঠাকুরের বিশিষ্ট ভক্ত শ্রী সত্যেন মিত্রের নিকট সিমলায় চিঠি দিলেন।উত্তরে যাহা জানিলেন তাহাতে বিস্ময় তাঁহার চরমে পৌছিঁল।শ্রীমিত্র লিখিয়াছেন,ঠাকুর মাসাধিক কাল যাবৎ সিমলা পাহাড়ে তাঁহার ভবনে অব অস্থান করিতেছেন এবং সেই দিন অবধি এই শৈলাবাস ছাড়িয়া অন্য কোথাও যান নাই।
,ঠাকুর মাসাধিক কাল যাবৎ সিমলা পাহাড়ে তাঁহার ভবনে অব অস্থান
Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL
on
18:37
Rating:
No comments: