জয় রাম,
ঠাকুর অতুল বাবুর স্ত্রীকে বললেন, মা আপনি পূর্ণকুম্ভ স্নান করতে গেলেন না ? অতুলবাবুর স্ত্রী বললন, বাবা , বড় ইচ্ছা ছিল ত্রিবেনী সঙ্গমে গিয়া পূর্ণ কুম্ভে স্নান করি। কিন্তু এ সংসারে এসে বাসন মাজা, আর কাপড় কাচাতেই যে জীবন গেল।
ঠাকুর দয়ার্দ্র কন্ঠে বললেন, মা, এসব কাজই তো কুম্ভের কাজ। ঘরে বইস্যা কুম্ভক করেন । দেখবেন কুম্ভমেলা ঘরে আইসা পড়ব । ঠাকুর বললেন, মা এক ঘটি জল আর একটি গামলা দিন ।
মহিলা একটি বড় গামলা ও একঘটি জল এনে দিলেন। শ্রীশ্রী ঠাকুর শ্রী চরণ দু খানি, ঐ গামলায় স্থাপন করলেন। এবার তিনি শ্রীহস্তে ধীরে ধীরে ছোট ঘটির জল আপন চরণে ঢালতে লাগলেন। অতুল বাবুর স্ত্রী সন্মুখে দাঁড়িয়ে সবিস্ময়ে লক্ষ্য করলেন, ঘটির জলে গামলাটি সম্পুর্ণ পরিপূর্ণ হয়ে গেল। শ্রীশ্রীঠাকৃর এবার শ্রীচরণ দুখানি গামলা হতে তুলে বললেন,..মা,..নেন্ কুম্ভের জল আইন্যা দিলাম ।
শ্রীশ্রীঠাকুরের অপার করুণায় অতুল বাবুর স্ত্রী অভিভুত হয়ে গেলেন। তিনি তৎক্ষণাৎ শ্রীপাদপদ্মে লুটিয়ে পড়লেন।
ভগবান । আপন গৃহেই উপনীত হল তীর্থ বারি।
পরমানন্দে ভক্তগণ বলছেন, আমার দয়াল গুরু কৃপাহি কেবলম্ ।
জয় গোবিন্দ জয় গোপাল
শ্রীশ্রীঠাকুর এভাবে ভক্ত বাঞ্ছ পূর্ণ করেন.
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ
on
07:24
Rating:

No comments: