..............

শ্রীশ্রী ঠাকুরের নিকট জাতিভেদ ছিল না। হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, সবাই মানবজাতি। সকলকে তিনি কোল দিয়াছেন। সবাইকে তিনি কোলে টানিয়া লইতেন।

শ্রীশ্রী  রামঠাকুর।


শ্রীশ্রী ঠাকুরের নিকট জাতিভেদ ছিল না। হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, সবাই মানবজাতি। সকলকে তিনি কোল দিয়াছেন। সবাইকে তিনি কোলে টানিয়া লইতেন।  


নোয়াখালীর অরুন হাইস্কুলে পড়িতেন সদানন্দ  চক্রবর্ত্তী মহাশয়। শ্রীশ্রী ঠাকুরের দেওয়া নাম মহামন্ত্র জপ, ধ্যান-ধারণায় কাটিতেছিলো দিনগুলি। অনেকদিন হইলো ঠাকুর দর্শন হইতে বঞ্চিত। ঠাকুর দর্শন লাভের তীব্র ইচ্ছায় ঘর হইতে বাহির হইয়া উদ্দেশ্যহীন ভাবে সদানন্দ  চক্রবর্ত্তী মহাশয় শহরের অপর প্রান্তে আসিয়া পৌঁছাইলে এক মুসলিম ভদ্র লোকের সহিত দেখা হয়, ভদ্রলোক সদানন্দ  চক্রবর্ত্তী মহাশয়কে বলিলেন, তুমি কারে খুঁজতাছো, আমি জানি। রামভাইর সঙ্গে দেখা করতে চাওত বল, আমি তোমারে নিয়া যাইতে পারি। যাবে ত সাইকেলের পিছনে উঠি বস।
.
গ্রামের আঁকা বাঁকা পথে অনেকদূর আসিয়া একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম গৃহস্থ বাড়ীর ঘাটায় (সদর দরজা) শান বাঁধান পুকুর ঘাটের নিকট আসিয়া সাইকেল থামিল। বড় গৃহস্থ বাড়ী। 
.
সদানন্দ দেখিলেন, শানবাঁধান ঘাটের চাতালে শীতল পাটিতে বসিয়া ঠাকুর মহাশয় এবং সেই গৃহস্থ বাড়ির মালিক মৌলবি সাহেব গভীর আলোচনায় মগ্ন। ঠাকুর বলিয়া চলিয়াছেন, শুশ্রুমন্ডিত মৌলবি সাহেব চক্ষু মুদিয়া তাহা শ্রবণ করিতেছেন। শ্রীশ্রীঠাকুরের পবিত্র কোরানের বাণী, শরিয়ত এবং সুন্নাহ শরীফের উদ্ধৃতি  দিয়া তাহার ব্যাখ্যা, সত্যপীরের কথা, সত্যপীর কে এবং সংসার জীবনে সত্যপীরের মাহাত্ম্য ইত্যাদি নানা কথা বলিয়া যাইতেছেন। ঠাকুরের পশ্চাতে অনতিদূরে দন্ডায়মান সদানন্দের সমস্তই কর্ণগোচর হইতেছিল। অনেকক্ষন এই ভাবে কাটিয়া যাইবার পর ঠাকুরের সম্মুখে উপবিষ্ট মৌলবী সাহেব সদানন্দকে দেখিতে পাইলেন। তিনি তখন বলিলেন - আরে সদানন্দ দাঁড়াইয়া আছ কেন, বস। কতক্ষন হইল আইছো?
বলা বাহুল্য মৌলবি সাহেবও সদানন্দকে চিনিতেন। মৌলবি সাহেবের কথা শুনিয়া পিছনে দন্ডায়মান সদানন্দের দিকে চাহিয়া ঠাকুর মহাশয় কহিলেন, "আপনে কেমনে খবর পাইলেন, আমি এখানে আছি।"
উত্তরে সদানন্দ মহাশয় বলিলেন, "তা আপনি তো ভালোই জানেন।"
.
মৌলবি সাহেব সদানন্দ কে কিছু খাওয়াইতে ব্যস্ত হইয়া উঠিলেন। তাহাকে উদ্দেশ্য করিয়া তিনি কহিলেন, "বামুনের পোলা তুমি, মোছলমানের বাড়ী আইছ, সদানন্দ তুমিই কও কি খাইবা?"
.
সদানন্দ বলিলেন, ব্যস্ত হওয়ার কি আছে, আমার ক্ষুদা নাই। তবে শাঁস ওয়ালা ডাব খাইতে পারি। সেই ডাবের আয়োজনে মৌলবি সাহেব সেই স্থান ত্যাগ করিলে ঠাকুর তাহাকে কহিলেন, - "এই বাড়িতে আপনি ভাত, ডাইল, তরকারি সবই খাইতে পারেন, আমি তো কোন দোষ দেখিনা। এরা লোক ভালো।‘
.
শ্রীশ্রী ঠাকুরের নিকট জাতিভেদ ছিল না। হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, সবাই মানবজাতি। সকলকে তিনি কোল দিয়াছেন। সবাইকে তিনি কোলে টানিয়া লইতেন। যাহা তিনি স্পর্শ করিয়াছেন, তাহাই পবিত্র হইয়াছে। এমন কোন মলিনতা নাই যাহা সেই পুণ্যের আলোকে একটি কলঙ্ক রেখাপাত করিতে পারে। সুগভীর জ্ঞান ও পবিত্রতা তাঁহার নিকট নিশ্বাস-প্রশ্বাসের ন্যায় স্বাভাবিক। আপন-পর তাঁহার নিকট অবিদিত ছিল। সবাই তাঁহার নিকট সমান; সর্ব্বাধিক প্রিয় তাঁহার কেহই ছিল না, তাঁহার নিকট যিনি থাকিতেন, মনে করিতেন তিনি ঠাকুরের অতি প্রিয় জন।





......
শ্রীশ্রী ঠাকুরের নিকট জাতিভেদ ছিল না। হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, সবাই মানবজাতি। সকলকে তিনি কোল দিয়াছেন। সবাইকে তিনি কোলে টানিয়া লইতেন। শ্রীশ্রী ঠাকুরের নিকট জাতিভেদ ছিল না। হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, সবাই মানবজাতি। সকলকে তিনি কোল দিয়াছেন। সবাইকে তিনি কোলে টানিয়া লইতেন।  Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on 15:51 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.