দয়াল ঠাকুরের ভক্তের উপর অশেষ করুণা ।

দয়াল ঠাকুরের ভক্তের উপর অশেষ করুণা । 


সন্ধ্যার সময় শ্রীশ্রীঠাকুর চাদরখানা সরিয়ে  উঠে বসলেন।
 আমরা সকলে শ্রীশ্রীঠাকুর কে প্রণাম করলাম। ঠাকুর কে বেশ উৎফুল্ল দেখাচ্ছিল।
 মা শ্রীশ্রীঠাকুর কে জিজ্ঞাসা করলেন‘বাবা আমাদের কোনো অপরাধ হয়নিতো? 
আপনি দুপুর বেলা ভোগ গ্রহণ করলেন না।’ শ্রীশ্রীঠাকুর বললেন আমি ভোগ গ্রহণ করেছি। 
তবে সব জায়গাতেই দেখতে হয়।’ এ কথার অর্থ কেহ বুঝতে পারে নি।
উৎসব অন্তে ঠাকুর মতিলাল বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের বাড়িতে গেলেন। 
৩/৪ দিন পর দীনেশচরণ বসু মহাশয় বাবা কে একখানা চিঠি দেখালে। 
ঢাকা জেলার বিক্রমপুরের বহর গ্রাম থেকে চিঠিখানা দীনেশ বাবুর পিতা শ্রীকান্ত বসু লিখেছেন ‘ বিগত রামনবমী উৎসব বিশেষ আনন্দের সঙ্গে সম্পন্ন হইয়াছে।
  উৎসবের দিন বেলা ১২টা নাগাদ শ্রীশ্রীঠাকুর অপ্রত্যাশিত ভাবে আসিয়া উপস্থিত হন এবং ৩/৪ ঘন্টা কাল এখানে অবস্থান করেন। 

অপরাহ্নে আমরা শ্রীশ্রীঠাকুর কে কলিকাতা যাবার  জন্য বহর স্টেশনে হইতে স্টীমারে তুলিয়া দেই।’ এই পত্রে দীনেশ বাবুর পিতা শ্রীশ্রী ঠাকুরের কলকাতা পৌঁছবার সংবাদ জানাবার  জন্য নির্দেশ দিয়াছিলেন।
 এই চিঠি পড়ার পর সবাই অবাক হয়ে রইলেন। দয়াল ঠাকুরের ভক্তের উপর অশেষ করুণা । চিঠি পড়ার পর সমস্ত ঘটনা জলের মত পরিষ্কার হয়ে গেল। 

শ্রীশ্রীঠাকুর কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন ‘এই রকম তো হইয়া থাকে।’ আর কিছুই বললেন না। 

( আমার জীবনে শ্রীশ্রীরামঠাকুর-ঊষারানী গঙ্গোপাধ্যায় )

দয়াল ঠাকুরের ভক্তের উপর অশেষ করুণা । দয়াল ঠাকুরের ভক্তের উপর অশেষ করুণা । Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ on 15:29 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.