..............

শ্রীশ্রীরামঠাকুর বলেছেন, “গুরু ভিন্ন এ জগতে কিছুই লাভ হয় না।

শ্রীশ্রীরামঠাকুর বলেছেন,“গুরু ভিন্ন এ জগতে কিছুই লাভ হয় না।






সদ্ গুরু শ্রীশ্রীরামঠাকুর-শ্রীশ্রীকৈবল্যনাথ-শ্রীশ্রীসত্যনারায়ণ
শ্রীশ্রীরামঠাকুর বলেছেন,
“গুরু ভিন্ন এ জগতে কিছুই লাভ হয় না। আপনি যাগ কাছে খাইতে, হাটতে, কথা বলতে, কাজ করতে শিখছেন সকলে গুরু বটে। ধর্ম জগতেও একই কথা। আগুন সর্বত্রই আছে, পাথরের মধ্যেও আছে, শূন্যেও আছে, শুকনো কাঠের মধ্যে আছে থাকলে হইব কি? আগুন পাওয়া যাইব কিভাবে? যেইখানে আগুন জ্বলছে সেইখানে গেলে অতি সহজে পাওয়া যাইব। সেইরূপ ব্রহ্ম বা ঈশ্বর চিন্ময়রূপে সর্বলোকব্যাপী বিরাজ করলেও ব্রহ্মবিদ্ গুরুর আশ্রয় ভিন্ন ব্রহ্ম দেখাও যায় না, ধরাও যায় না। যেহেতু একমাত্র ব্রহ্মবিদ গুরুতেই ব্রহ্মের চিন্ময়শক্তি বিশেষভাবে বিকশিত হইয়া আছে। সুতরাং ব্রহ্মবিদ্ গুরু ভিন্ন ঈশ্বর লাভ অসাধ্য বই কি।”
গুরু দুই প্রকার- শিক্ষাগুরু ও দীক্ষাগুরু। গুরুর উপদেশ ব্যতীত সামান্য বৃক্ষ-লতারও ভালোরূপ পরিচয় জানিতে পারা যায় না। যে শক্তির দ্বারা আমাদের আত্মার উন্নতি হয় ও আমরা মুক্তির দিকে অগ্রসর হই সেই শক্তিই আমাদের গুরু। দুই শক্তির একত্র ঘর্ষন ব্যতীত কোন কার্যই সিদ্ধ হয় না। এই দুই শক্তির মধ্যে যে শক্তি প্রবল তাহাই অপরের গুরু। চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্রাদি যাঁহার শক্তির ইঙ্গিতে স্ব স্ব কার্যে নিয়ত ধাবিত হইতেছে তিনিই জগৎ গুরু। এই জগৎ গুরুকে জানিবার জন্য যিনি পথ পরিষ্কার ও সুগম করিয়া দেন তিনিই শিক্ষাগুরু। সূক্ষ তত্ত্ব লাভ করিবার জন্য শিক্ষা প্রথম সোপান এবং দীক্ষা দ্বিতীয় সোপান। শিক্ষা দীক্ষার অনুকূল হওয়া চাই। শিক্ষার দ্বারা মনের সংশয় নাশ, যথার্থ জ্ঞান ও দিব্যদৃষ্টি হয়। দীক্ষার দ্বারা জীবের পরমারাধ্য পরম দেবতাকে দর্শন করিয়া জীব কৃতার্থ হয়। উপযুক্ত গুরু ব্যতীত শিক্ষা দীক্ষা দিবার অধিকারী কেহই হইতে পারে না।  শাস্ত্রে সদ্গুরুর দুইটি মুখ্য গুণের উল্লেখ রহিয়াছে- সদ্গুরু (১) বেদজ্ঞ এবং (২) ব্রহ্মনিষ্ঠ হইবেন। মন্ত্রপ্রদ গুরুকে প্রধানত আচার্য বলা হইয়া থাকে। শিক্ষাপ্রদ গুরুও পার্থিব জীবনে তুল্যরূপে আচার্য পর্যায়ভূক্ত। ধর্মের মর্মজ্ঞ পুরুষগণ এই আচার্যকে সংসার-বিমুক্তির এবং ভগবৎ প্রাপ্তির শ্রেষ্ঠ উপায় বলিয়া কীর্তন করিয়াছেন। শিষ্যের প্রতি আচার্যের মদীয়ত্ব অভিমানই শিষ্যের মুক্তির সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়। উল্লেখ্য, সদ্গুরু হইতে সঞ্চারিত চৈতন্যের সহকারিতা প্রাপ্ত হইয়া যিনি ধর্মপথে অগ্রসর হন, তিনি চৈতন্যের তীব্রতা অনুসারে সাধক অথবা যোগীরূপে পরিগণিত হইয়া থাকেন। চৈতন্যের নূন্যতা থাকিলে সাধনমার্গ এবং তীব্রতা থাকিলে যোগমার্গ অভিব্যক্ত হইয়া থাকে। গুরুর বাক্য বেদবাণী, তাঁহার পাদধৌত জল অমৃত, তাঁহার আজ্ঞা শিরোধার্য, তাঁহার দর্শনে জীবন সফল হয়। তিনি অপার সংসারসমুদ্রে বিচক্ষণ কর্ণধার। এই পবিত্র দীক্ষাগুরুর পদে বরণ করি কাকে? আমাদের দেশে যাঁহারা আজকাল গুরুগিরি ব্যবসা করিয়া থাকেন, গুরুদক্ষিণা লাভ যাঁহাদের লক্ষ্য, তাঁহাদিগকে কেহই সদ্গুরু বলিতে সাহস করিবেন না। কুল গুরু ত্যাগ করিতে নাই, এই সংস্কার আমাদের দেশের গুরুগণকে এত দুর্দশাগ্রস্ত করিয়াছে। দুই একজন অবশ্য ভালো গুরুও থাকিতে পারেন তাঁহাদিগকে সকলেই শ্রদ্ধা ও ভক্তি করিয়া থাকেন। যাঁহারা অশিক্ষিত, অসচ্চরিত্র, সাধনাবর্জিত তাঁহাদের দীক্ষা দিবার কি অধিকার আছে? যিনি নিজেই অন্ধ তিনি অন্যের চক্ষু উন্মীলিত করিতে গিয়া হয়তো শলাকাতে শিষ্যের চক্ষু উৎপাটিত করিয়া বসিবেন। তাঁহার তো শিষ্যকে চরাচরব্যাপী অখন্ডমন্ডলাকার পুরুষকে দেখাইবার ক্ষমতা নাই। যিনি নিজেই কখনও দেখেন নাই, তিনি অন্যকে কি প্রকারে দেখাইবেন, তবে কেবল সদ্গুরুর প্রাপ্য প্রণামীটা তাঁহারা ফাঁকি দিয়া গ্রহণ করিয়া থাকেন। গুরুর লক্ষণ কি তাহা প্রথমে জানা উচিতৎ। তাহার পর দীক্ষা দিবার উপযুক্ত হইলে অবশ্য দিতে পারেন। যিনি সর্বশাস্ত্রদর্শী, কার্যদক্ষ, শাস্ত্রের যথার্থ মর্মজ্ঞাত, সুভাষী, সুরূপ, বিকলাঙ্গ নহেন, যাঁহার দর্শনে লোকের কল্যাণ  হয়, যিনি জিতেন্দ্রিয় সত্যবাদী, ব্রাহ্মণ্যশীল, ব্রাহ্মণ, শান্তিচিত্ত, পিতৃমাতৃহিত-নিরত, আশ্রমী, অষ্টসিদ্ধি যিনি আয়ত্ত করিয়াছেন, দেশবাসীরও এই রূপ গুনযুক্ত দেখিয়া গুরুপদে বরণ করা উচিৎ। এই প্রকার গুণবান হইয়া শিষ্যকে দীক্ষা দিলে উভয়েরই মঙ্গল।
গুরু যে কি জিনিস তাহা গুরুগিরি করিয়া যাঁহারা সংসার চালান তাঁহারা জানেন না। শিষ্য কত টাকা বেতন পায়, মাসে উপরি পাওনা কত টাকা তাহা জিজ্ঞাসা করিতে কখনও ভুল হয় না। অনেক শিক্ষিত লোকে আকজাল সেই জন্য কুলগুরুর নিকট দীক্ষা লইতে চাহেন না। যোগ্য গুরু পাইলেও দীক্ষা লইবার চেষ্টায় থাকেন। ভালো গুরু না হইলে ঠিক পথ বলিয়া দিবার কাহারও ক্ষমতা নাই। সদ্গুরু সহজে মিলে না। ভগবানকে পাইবার জন্য যদি প্রাণ কাঁদিয়া ব্যাকুল হয়, তবে নিশ্চয় জানিবে, ভগবান স্বয়ং তোমার সহায় হইয়া সদগুরু মিলাইয়া দেন।
কুল গুরু ঃ শাস্ত্রে আছে, কুল গুরুর নিকট দীক্ষা লইতে হইবে। এই কুলগুরু অর্থ পৈতৃক গুরু নহেন। দেশের লোক অর্থ না বুঝিয়া বংশগত গুরুকে কুলগুরু বলেন। কুলগুরুর অর্থ, (তন্ত্রশাস্ত্রে আছে) যিনি সাধনা দ্বারা অন্তর্নিহিত কুলকুন্ডলিনী শক্তি জাগ্রত করিয়াছেন, তাঁহাকে কুলগুরু বলে।



সদ্গুরু
ত্রৈলঙ্গ স্বামীঃ
‘সদ্গুরু হলেন সগুণ ইশ্বর’
শ্রীশ্রীবিজয়কৃষ্ণ গোস্বামীঃ
‘সদ্গুরু ভগবানের আবেশ বা অবতারাংশ বা স্বয়ং তিনি।’
মহর্ষি রমণঃ
“সদগুরু দেহে থেকেও বিদেহ বা দেহাতীত। দেহে যদি নাও থাকেন, তখনো সমভাবে ক্রিয়া করে তাঁর আশীর্বাদ।”
মহাত্মা কবীরঃ
“সদ্গুরু হলেন ভগবানের আরশি।”
(শ্রীশ্রীরাম ঠাকুরকে জানুন- কৈবল্য ভুবন। )
শ্রীশ্রীরামঠাকুর বলেছেনঃ
“মন, বুদ্ধি, বাসনা সকল গুরুপ্রাপ্তি ইচ্ছায় রাখিয়া দিবে। কোন বিষয়েই অধীর হইতে নাই। সর্ব্বদা কেবল গুরুর দিকে লক্ষ্য রাখিবেন, গুরু আপনার মঙ্গল করিবেন।” (বেদবাণী ৩/১৩৫)
“সত্যকে পাইলে ভালমন্দ কিছুই থাকে না, এ অবস্থাকেই সদ্গুরু লাভ বলে।” (বেদবাণী ২/২১৫)
“কোন চিন্তা করিবে না। সর্ব্বদা কর্ম্ম করিয়া যথাশক্তি গুরুর আদেশ পালনের সময় পাইলে করিবে। না করিতে পারিলেও গুরু উদ্ধার করিবেন সংশয় নাই।” (বেদবাণী ১/৩১৩)
“নাম নিয়া পড়িয়া থাকুন। নামেই আপনার সমস্ত করিয়া নিবে।” (বেদবাণী ২/১২৬)
“সর্ব্বদাই গুরুর নিকেট থাকিতে লালসা









MY AMAZON PAGE, PLS VISIT MY SITE JOYRAM


শ্রীশ্রীরামঠাকুর বলেছেন, “গুরু ভিন্ন এ জগতে কিছুই লাভ হয় না। শ্রীশ্রীরামঠাকুর বলেছেন, “গুরু ভিন্ন এ জগতে কিছুই লাভ হয় না। Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on 12:16 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.