শ্রীশ্রীকৈবল্যধামের পরম পূজনীয় চতুর্থ মোহন্ত মহারাজজী শ্রীমৎ ভবতোষ বন্দোপাধ্যায় স্মরণে :~
লামডিং-এর বনমহোৎসবের কথা সকল ভক্তজনই অবগত আছেন।
এত ভক্তের সমাগমে ঠাকুরের প্রসাদ রাখার জন্য বড় বড় পাঁচটি কাঠের ট্যাঙ্কি নির্মাণ করা হয়েছিল।
এর মধ্যে সুবৃহৎ ট্যাঙ্কিটিতে ৫০/৬০ মণ নিত্যানন্দ খিচুড়ি রাখা হয়েছিল।
দ্বিপ্রহরে প্রসাদ বিতরণের সামান্য আগে সেই সুবৃহৎ ট্যাঙ্কিটি ফেটে গেল। আর বহু পরিমাণ প্রসাদ বাইরে পড়ে নষ্ট হল।
এখন এত বিপুল সংখ্যক ভক্তের প্রসাদের ব্যবস্থা কিভাবে করা যাবে তা ভেবে কর্মকর্তারা বড়ই চিন্তিত হয়ে পড়লেন।
শ্রীমৎ মহারাজজী সেইবার এই উৎসবে উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদকদ্বয় অন্য ভক্তদিগকে সঙ্গে নিয়ে মহারাজজীর চরণে পড়ে ক্রন্দন করতে লাগলেন।
কি অপরাধে এমন বিপর্যয় তা যে অজ্ঞাত...
সকলে মহারাজজীর কৃপাভিক্ষা প্রার্থনা করলেন।
মহারাজজী বললেন -- "মা গঙ্গাকে প্রসাদ দিয়েছেন?
দিলেন না কেন?
এখনই ওঁনাকে প্রসাদ দিয়ে আসুন এবং
বেলা ১ টা থেকে প্রসাদ বিতরণ আরম্ভ করে দিন।"
পরিকল্পনা ছিল যে বেলা ২ টা থেকে প্রসাদ বিতরণ করা হবে।
বহু প্রসাদ ট্যাঙ্কি ফেটে নষ্ট হয়ে গেছে। তা পরিপূরণ করার জন্য একটু সময় দরকার।
অথচ পরম শক্তিধর মহারাজজী ১ টা থেকেই প্রসাদ বিতরণের আদেশ দিলেন।
বিনা দ্বিধায় 'জয়গুরু' ধ্বনিসহকারে ১ টা থেকে প্রসাদ বিতরণ আরম্ভ করা হল। রাত্রি ১১ টা পর্যন্ত একটানা প্রসাদ বিতরণ হল।
কিন্তু প্রসাদের একটুও অসংকুলান হল না।
ভক্তগণ, কর্মকর্তাগণ সকলে বুঝলেন --
এটি একমাত্র পরমদয়াল এবং পরম শক্তিধর মোহন্ত মহারাজজীর কৃপাতেই সম্ভবপর হয়েছে।
জয়রাম.... জয় মহারাজজী....
"স্মরণিকা"
No comments: