..............

প্রাণে যারে ভালবাসেন তিনি কি কখনও দূরে থাকতে পারেন ? তিনি থাকেন কাছাকাছি । : - - শ্রীশ্রীরামঠাকুর ।

 প্রাণে যারে ভালবাসেন তিনি কি


কখনও দূরে থাকতে পারেন ?
তিনি থাকেন কাছাকাছি ।
: - - শ্রীশ্রীরামঠাকুর ।
জয় গোবিন্দ জয় গোপাল ।
কেশব মাধব দীন দয়াল ।।
সুপ্রভাত ।
বহুদিন পরে ঠাকুরমহাশয় এসেছেন কাশীধামে ।
সংবাদ পেয়ে স্বর্গীয় ডাঃ কানাইলাল বন্দোপাধ্যায় এসে ঠাকুরমহাশয় কে প্রণাম করলেন ।
কেন , তিনি সুদীর্ঘ একবৎসরেরও উপরে কাশীতে আসেননি ।
এইজন্য তারা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সন্ধ্যাবেলায় গঙ্গার ঘটে একসঙ্গে বহু মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে জলে ভাসিয়ে দিয়েছেন ,
যাতে তাদের প্রিয় ঠাকুরের সত্বর সান্নিধ্য লাভ ঘটে ।
শুনে ঠাকুরমহাশয় মৃদু হেসে বললেন ,
ঐ সব করেন তো কোন প্রয়োজন দেখিনা ,
প্রাণে যারে ভালবাসেন তিনি কি কখনো দূরে থাকতে পারে ?
তিনি থাকেন কাছাকাছি ।
কিছুক্ষন থেকে কানাইবাবু উঠে গেলেন ।
তিনি শুনেছেন , এইবার ঠাকুরমহাশয়ের কাশী স্থিতি পনের দিনের কম নয় ।
কানাইবাবুর মনে প্রবল বাসনা ,
শীতের সময় কাশীতে শাকসব্জি শুধু নয়ন অভিরামই নয় , সুস্বাদুও ।
এবার যখন ঠাকুরমহাশয় শীতের সময়ই এসেছেন তখন ঠাকুরমহাশয়কে এইসব শাকসব্জি ও তরকারি রন্ধন করিয়া নিবেদন করিবেন এবং একটু উৎসব করে প্রসাদ বিতরণ করবেন অনেককে ।
সেই রাত্রেই কানাইবাবু কয়েকজনের সঙ্গে এই বিষয়ে
পরামর্শ করলেন ।
তারাও তাকে পূর্ণ সমর্থন করলেন ।
পরের দিন কানাইবাবু মৃদুকম্পিত কন্ঠে ঠাকুরমহাশয়কে জানালেন তার মনোগত অভিলাষ ।
সবকথা শুনে ঠাকুরমহাশয় উৎসবে তো বিন্দুমাত্র উৎসাহ দিলেন না বরং নিস্তর থাকার প্রস্তাব করলেন ।
ঠাকুরমহাশয় বললেন ,
উৎসব করা এত সহজ নয় , উৎসব করা সুকঠিন ।
তারা মনে করেন খিচুড়ি ভোগ দিয়ে খোল-কারতালের বোল তুললেই উৎসব হয় , কিন্তু তা নয় ।
আড়ম্বর অথবা কুণ্ঠা ভোগ নিবেদনে থাকবেন না ।
যার সঙ্গতি আছে তিনি স্বাভাবিক ভাবেই অন্যের তুলনায়
মহার্ঘ উপকরণের প্রাচুর্য আনেন ,
কিন্তু নিঃসম্বল যিনি তিনি যেটুকুন দেন সেই উপকরণের সামন্যতা স্মরণ করে কাহাকেও প্রসাদ গ্রহণের আহ্বান
জানাতে ইচ্ছা থাকলেওকুন্ঠিত হন ।
এই আড়ম্বর অহংকারেই প্রকাশ ।
আর এই কুণ্ঠা , এরও স্থান খুবই কম কারণ যৎসামান্য যা
কিছু তিনি নিবেদন করছেন তা অন্যকে নিতে আসতে ডাক দিতে এত সঙ্কোচ কেন ?
উপাস্যের চেয়ে অবস্থাকেই কি বড় করে দেখা হচ্ছে না ?
ক্ষুণ্নমনে কানাইবাবু কে সেদিন চলে যেতে হল ।
পরেরদিন কানাইবাবুর সঙ্গে কয়েকজন নবীন যুবক এসে ঠাকুরমহাশয়কে প্রণাম করলেন এবং সকাতরে ঠাকুরমহাশয়ের কাছে উৎসবের অনুমতির জন্য অনুরোধ করলেন বারংবার ।
দুইএকজন উৎসাহী যুবক এগিয়ে এসে জানালেন ,
তারা সকলে কানাইবাবুর বাড়ীর উৎসবের বাজার হাট
সমস্তই করে দিবেন ।
তাদের বাড়ীর মা-বোনেরা রন্ধনশালায় সমস্ত কাজ কর্ম করিবেন ,
কীর্ত্তনিয়ার দল ডাকতে হবে না কারণ তারাই প্রতিদিন
কারো না কারোর বাড়ীতে সন্ধ্যায় সমবেত হয়ে নাম
সংকীর্ত্তন করেন ।
সর্বোপরি তাদের মাথার উপর ঠাকুর তো আছেনই ।
এখন ঠাকুরমহাশয়ের অনুমতি পেলেই কানাইবাবুর অনেক
দিন বাসনা পূর্ণ হয় এবং তারাও সকলে একটা দিন পরম আনন্দে কাটাতে পারেন ।
ফণীভূষণ চক্রবর্তী ,
" শ্রুতিতে রামঠাকুর "
পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৪ হইতে ।

প্রাণে যারে ভালবাসেন তিনি কি কখনও দূরে থাকতে পারেন ? তিনি থাকেন কাছাকাছি । : - - শ্রীশ্রীরামঠাকুর । প্রাণে যারে ভালবাসেন তিনি কি   কখনও দূরে থাকতে পারেন ? তিনি থাকেন কাছাকাছি ।    : - -  শ্রীশ্রীরামঠাকুর । Reviewed by SRISRI RAMTHAKUR KOTHA O BANI YOUTUBE CHANNEL on 20:01 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.